পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আয়ুৰ্বেদ-শিক্ষা । ܘܿ ܪ দ্রব্যাঙ্গ গ্রহণবিধি । খদিরাদি বৃক্ষের সার গ্রহণ করিবে। নিম্বাদি ( নিম, অৰ্জ্জুন ও শোণিা প্রভৃতি ) বৃক্ষের বন্ধলে, দাড়িমা ও হরীতকী প্রভৃতি ফলের খোসা, পটোল ও তালীশাদির পাতা গ্রহণ করিবে । সচরাচর যে সকল বৃক্ষ ও তাহদের মূল বৃহৎ এবং অভ্যন্তরস্থ কাষ্ঠ সারবিশিষ্ট, তাহাদের বন্ধল গ্রহণ করিবে। যে সকল বৃক্ষ ক্ষুদ্র ও যাহাদের অভ্যন্তর সারবিহীন (আকনাদি প্রভৃতি ) সেই সকল বৃক্ষের মূল, শাখা ও পত্র সমস্তই ঔষধে প্রয়োগ করিবে। ঋতুভেদে দ্রব্যাঙ্গ গ্রহণ।

  • উদ্ভিজের মূল শীত ও গ্রীষ্মকালে উদ্ধত করিবে, পত্র বর্ষা ও বসন্ত ঋতুতে আহরণ করা বিধেয়, ত্বক, কন্দ (ভূমিকুষ্মাণ্ডাদি ), ক্ষীর (মনসা, আকন্দ প্রভৃতির ) ও সপত্রগুল্মাদি শরৎকালে এবং বৃক্ষের সার হেমন্তঋতুতে গ্রহণ করিবে কিন্তু ফল ও পুষ্প যে ঋতুতে উৎপন্ন হয়, সেই ঋতুতেই গ্রহণ করা

च्वांत्रशुद्द् । ঔষধের বীর্য্যকালনিরূপণ । চূর্ণ ঔষধ ২ মাসের পর বীর্য্যহীন হয় এবং বটিকা, মোদক, অবলেহ ও সাধারণতঃ সমস্ত ঔষধই এক বৎসরের পর হীনবীর্য্য হইয়া থাকে। পাকসুত, পক্রকট তৈল এবং লঘুপাকের ঔষধ চারি মাসান্তে বীর্য বিহীন হয়, কিন্তু পকতিলতৈল ও এরণ্ডতৈল এক বৎসরের পর বীর্য্যশালী হইয়া থাকে। আসব, ধাতুদ্রব্য ও পারদ যত পুরাতন হয়, ততই সমধিক গুণসম্পন্ন হইয়া থাকে । ঔষধগ্রহণের স্থাননিরূপণ। আগ্নেয় গুণ সম্পন্ন বিন্ধ্যাচলাদি পর্বতস্থিত ঔষধ এবং সোম গুণসম্পন্ন হিমালয়াদি পর্বতস্থিত ঔষধ গ্রহণ করা কীর্ত্তব্য। পর্ব্বত ব্যতীত অন্যান্য স্থানের ঔষধ গ্রহণ করিবে। জঙ্গল ও সাধারণদেশস্থিত পূর্ব্ব ও উত্তর দিকের ঔষধ কীটাদি কর্তৃক ভক্ষিত না হইলে, তাহাও গ্রহণ করা যাইতে পারে।