পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-শিক্ষা (প্রথম খণ্ড) - অমৃতলাল গুপ্ত কবিভূষণ.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্বর-চিকিৎসা । રતે দাহ সর্ব্বশরীরে বেদনা, ভ্রম, অত্যন্ত কষ্টবোধ, শিরঃপীড়া এবং বস্তিদেশে, গ্রীবায় ও হৃদয়ে বেদনা, বাক্যের জড়তা, নয়নের নিমীলনতা, শ্বাস, কাস, হিক্কা, দেহের জড়তা ও জ্ঞাননাশ, এই বৈদারিক বা হীনবাত, মধ্যপিত্ত ও প্রবৃদ্ধ কফ সন্নিপাতজরের লক্ষণ । এই সন্নিপাত কষ্টসাধ্য, কিন্তু এই সন্নিপাতে কর্ণমূলে শোথ হইলে সুখসাধ্য। ( ১৩ ) ত্রয়োদশ সন্নিপাতত্ত্বরের নামান্তর ও লক্ষণান্তর। শীতাঙ্গসন্নিপাতের লক্ষণ । গাত্রের অত্যন্ত শীতলতা, শ্বাস, কাস, হিক্কা, মোহ, কম্প, প্রলাপ, ক্লান্তি, বলহানি, অন্তর্দাহ, বমন, শরীরে বেদনা ও স্বরভঙ্গ ; এই সমস্ত শীতাঙ্গসন্নিপাতজরের লক্ষণ । এই সন্নিপাত অসাধ্য। (১) তন্ত্রিকসন্নিপাতের লক্ষণ । অত্যন্ত তন্দ্রা,প্রবল পিপাসা, অতিসার, প্রবল শ্বাসবেগ, কাস, গাত্রবেদনা, জরের প্রবল তাপ, গলদেশে শোথ, নাসিকার অগ্রভাগের শীতলতা, জিহবা কৃষ্ণবর্ণ, কান্তিবোধ, শ্রবণশক্তির হ্রাসী ও দাহ, এই সমস্ত তন্ত্রিক সন্নিপাতজরের লক্ষণ । এই সন্নিপাত কষ্টসাধ্য। ( ২ ) প্রলাপকসন্নিপাতের লক্ষণ । ত্রিদোষের অত্যন্ত প্রকোপবশতঃ এই সন্নিপাতে সহসা অসংখ্য প্রলাপবাক্য কথন, কম্প, বেদনা, শরীরে দাহ ও অজ্ঞানতা ; এই সমস্ত লক্ষণ প্রকাশ পায়। এই সন্নিপাত অসাধ্য। (৩) ब्रङछेोबैी সন্নিপাতের লক্ষণ । রক্তবমন, শরীরে রক্তবর্ণ বা কৃষ্ণবর্ণ চক্রাকৃতি শোথ, চক্ষুদ্বয়ের রক্তবর্ণতা, পিপাসা, অরুচি বমি, শ্বাস, অতিসার, ভ্রম, আত্মান, জ্ঞানলোপ, হিকা ও অত্যন্ত গাত্রবেদন ; এই সমস্ত রক্তষ্ঠিীবী সন্নিপাতজরের লক্ষণ । এই সন্নিপাত অসাধ্য ( ৫ ) ভুগ্রনেত্র সন্নিপাতের লক্ষণ ।। নয়নের অতিশয় বক্রভাব, শ্বাস, কাস, তন্দ্রা, ভ্রম, প্রলাপ, মত্ততা, কম্প, শ্রবণশক্তির হ্রাস ও মোহ ; এই সমস্ত ভুগ্রনেত্র সন্নিপাতজরের লক্ষণ । ইহা অসাধ্য ( ৫ ) অভিন্ন্যাসসন্নিপাতের লক্ষণ । অত্যন্ত মোহ, চেষ্টাহীনতা, ইন্দ্রিয়াদির বিকলতা, প্রবল শ্বাস, বাকশ্বক্তির হ্রাস, দাহ, মুখের চিকুণতা ( মুখে