পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-সংগ্রহ (অষ্টম সংস্করণ) - দেবেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত.pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিভাষা-প্রকরণম | SoS যত্র সুতোহধিকো যোগে গন্ধপাষাণতো ভবেৎ।। তত্র তন্মানতঃ কুর্য্যাদাদাবেবি হি কাজলম। শোধিত পারদ ও শোধিত গন্ধক সমান পরিমাণে লইয়া উহাকে একদিন উত্তমরূপে মর্দন করিবে, পারদকণ অদৃশ্য হইয়া উহ। কজ্জলসদৃশ হইলে ঔষধ-কার্য্যে প্রযোজ্য হইবে । কোন ঔষধে যখন সমপরিমাণে পারদ ও গন্ধক লইবার ব্যবস্থা থাকিবে, তখন বুঝিতে হইবে যে, দুইভাগ কাজলী গ্রহণ করিতে হইবে, এবং যে ঔষধে পারদ আপেক্ষা গন্ধকের ভাগ অধিক উক্ত থাকিবে, তথায় পূৰ্ববং কজ্জলী লষ্টয়া অতিরিক্ত গন্ধকাংশ যোগ করিলেই চলিবে । মনে কর, কোন ঔষধে একভাগ পারদ ও নেইভাগ গন্ধক লইবার বিধান আছে, তথায় छूछेडi१ा कऽञ्जलिी 9 कडॉ१ १ाक्रक लिटेलिकें চলিবে । কিন্তু যেখানে গন্ধক অপেক্ষা পারদের ভাগ বেশী থাকিবে, সেখানে অগ্রে সেই পরিমিত পারদ ও গন্ধক লইয়া কাজলী প্রস্তুত করা। কর্ত্তব্য । অথ গন্ধকস্ত শোধনবিধিঃ । লৌহপাত্রে বিনিক্ষিপ্য যুতমগ্নেী প্রতাপয়েৎ । তপ্তে ঘূতে তৎসমানং ক্ষিপেদ গন্ধকজৎ রজঃ । বিদ্রুতং গন্ধকং দৃষ্ট দুগ্ধমধ্যে বিনিক্ষিপেৎ । এবং গন্ধকগুদ্ধি: স্যাৎ সর্বকায্যেষু যোজয়েৎ ৷ একখানি লৌহনির্ম্মিত হাতায় কিঞ্চিৎ ঘূত দিয়া অগ্নিতে উত্তপ্ত করিয়া তাহাতে গন্ধক চূর্ণ নিক্ষেপ করবে, গন্ধক দ্রবীভূত হইলে উহ দুগ্ধে ঢালিবে এই প্রক্রিয়া দ্বারা গন্ধক বিশুদ্ধ হয়, এইরূপ বিশুদ্ধ গন্ধকই সর্বকার্য্যে প্রযোজ্য। অথ গন্ধকস্ত তৈলম। অর্কক্ষীরৈঃ স্না,হীক্ষীরৈর্যন্ত্রং লেপ্যন্তু সপ্তধা। গন্ধকং নবনীতেন পিষ্ট বস্ত্রং প্রলেপয়েৎ । তদ্বর্ত্তিম্বলিত দণ্ডে ধৃত ধার্য্যা ত্বধোমুখী। তৈলং পতন্ত্যধঃপাত্রে গ্রহং যোগেষু যোজয়েৎ । 可可瓦一 আবর্ত্তমানে পয়স দত্ত গন্ধকজং রজঃ । তুজা তদািধজং সপিৰ্গন্ধতৈলং বদন্তি হি । १ांक्ष?ठव९१|ळ९६४९ रु'छ क्षत्र'फ्र ख्कभं९ ॥ গন্ধক হইতে তৈল প্রস্তুত করিবার নিয়ম -আকন্দ অথবা সিজের আঠায় এক খণ্ড বস্ত্র সাতবার সিক্ত করিবে এবং নবনীতের সহিত গন্ধক পোষণ করিয়া সেই গন্ধক দ্বারা উক্ত বস্ত্রখণ্ড লিপ্ত করবে। পরে গন্ধকলিপ্ত বস্ত্র কোন কাঠের দণ্ডে জড়িাইয়া একটী বাতি প্রস্তুত করিবে। ঐ বাতি অগ্নিতে জ্বালাইয়া কোন ভাণ্ডের উপর অধোমুখে ধরিবে । তাহা হইলে উহা হইতে বিন্দু বিন্দু তৈল ভাণ্ড মধ্যে পতিত হঠবে। ইহারই নাম | গন্ধক তৈল । অন্য প্রকার—— দুগ্ধ আবর্ত্তন করিবার সময় উহাতে গন্ধক চুণ প্রক্ষেপ দিবে এবং সেই দুগ্ধজাত দধি মন্থন করিয়া ঘূত প্রস্তুত করিবে। সেই ঘূতকেও গন্ধক-তৈল বলিয়া থাকে। গন্ধক তৈল লেপন বা পান করিলে গলৎকুণ্ঠও নিবারিত হয় । অখ গন্ধকানুপানীম্। মোচাফলেন ত্বগ দোষং চিত্রকেণ মহাবলম। আটরষকষায়েণ ক্ষয়কাসান জয়েন্দা ভূশম্। মন্দানলত্বং জয়তি ত্রফলাক্কাথ সংযুতম্। উদ্ধগামী সকলান রোগান হস্তি শীঘ্রং সুগন্ধক: | শুদ্ধ গন্ধক সেবনের অনুপান । বিশুদ্ধ গন্ধক কদলীর সহিত সেবিত হইলে চর্ম্মরোগ, চিতার সহিত সেবিত হইলে বলহীনতা, বাসককাথের সহিত সেবনে সুদারুণ ক্ষয় ও কাস, ত্রিফলাকাথের সহিত সেবিত হইলে অগ্নিমান্দ্য ও উৰ্দ্ধদেহগত যাবতীয় রোগ নিবারিত হয়।