পাতা:আয়ুর্ব্বেদ-সংগ্রহ (অষ্টম সংস্করণ) - দেবেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আয়ুৰ্বেদাবতরণম্। ( — , যদি নীরোগ থাকে, তাহা হইলেই ঐ ধর্ম্মাদি | মুনিগণকর্তৃক এইরূপে প্রার্থিত হইয়া মুনিদত্তম বশিষ্ঠ, পরাশর, হারাত, গৌতম, সাংখ্য, ! মৈত্রেয়, চ্যবন, জমদগ্নি, গাৰ্গ, কাশ্যপ, { কশ্যপ, নারদ, বামদেব, মার্কণ্ডেয়, কপিঞ্জল, { শাণ্ডিল্য, কৌণ্ডিলা, শাকুনেয়, শৌনক, { আশ্বলায়ন, সাংস্কৃত্য, বিশ্বামিত্র, পরীক্ষিত, . দেবল, গালদা, ধৌম্য, কাপ্য, কাত্যায়ন, কাঙ্কায়ন, বৈজবপ, কুশিক, বা দয়ায়ণ, হিরণ্যাক্ষ, লোকাক্ষি, শরলোমা, গোভিল, বৈখানস, বালখিল্য : ও অন্যান্য মহর্ষিগণ । উপস্থিত হইয়াছিলেন। ইহারা সকলেষ্ট । ব্রহ্মজ্ঞানের নিধান, যম ও নিয়ম গুণের আধার এবং তপস্তেজে হুয়মান অগ্নির ন্যায় । প্রদীপ্ত। মহর্ষিগণ সুখোপবিষ্ট হইয়া পরস্পর } এইরূপ কথোপকথন আরম্ভ করিলেন যে, , ধর্ম্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষের মূলই দেহ; দেহ । চতুর্ব্বৰ্গ লাভ হইতে পারে। যেহেতু রোগপ্রভাবে তপস্যা, বেদাধ্যয়ন, ধর্ম্ম, ব্রহ্মচর্য্যব্রত ও পরমায়ুঃ সমস্তই বিনষ্ট হয়। রোগ সকল দেহের কৃশতাকারক, বলক্ষয়কারক, শারীরিক চেষ্টাপহারক, দর্শনাদি-ইন্দ্রিয়াশক্তি-বিনাশক, সাৰ্বাঙ্গিক পীড়াজনক এবং ধর্ম্ম অর্থ-কামমোক্ষের প্রবল বিয়ম্বরূপ ও তা শু? প্রাণ-বিনাশক। এক্ষণে এই বিশেষ অনিষ্টকারী রোগ : সর্ব্বত্র প্রসূত হইয়াছে। যদি ইহা থাকে, তাহা হইলে প্রাণিদিগের মঙ্গল কোথায় ? { আপনায়া সকলেই যোগ্য ও পণ্ডিত, যাহাতে রোগের শান্তি হয়, এমন কোন উপায় চিন্তা করুন। অনন্তর সভাস্থ সকলেই ভরদ্বাজ মুনিকে বলিলেন - ভগবন! আপনি যোগ্য, আপনি সুরপুরে গমন পুর্ব্বক সহস্ৰ-লোচন ; ইন্দ্র-দেবের নিকট আয়ুৰ্বেদ শিক্ষা করিয়া আসুন, তাহা হইলে আমরাও ক্রমে সেই ; अशू6 ख्रक्षान्न कनि वाडि श्tऊ মুক্তিলাভ করিতে পারিব। বিনয়াবনত 〔豆可1 বর্ব্বাচন দ্বারা ভরদ্বাজ সুরপুরে ইন্দ্রভবনে গমন করিলেন। দেখিলেন, বুত্রহস্ত ইন্দ্র দেবর্ষিগণ-পরিবৃত হইয়া, দীপ্যমান অগ্নির ন্যায় শোভা পাইতেভগবান ইন্দ্র ভরদ্বাজ মুনিকে দেখিবা মাত্র সানন্দে তদীয় আগমনী-কুশল জিজ্ঞাসা করিয়া যথাবিধি তাহার অর্চনা করিলেন। মুনিসত্তম ভরদ্বাজ জয়সূচক আশীইন্দ্র-দেবকে অভিনন্দন করিয়া ঋষিগণের প্রার্থনাবাক্য র্তাহাকে নিবেদন করলেন এবং কহিলেন, পৃথিবীতে সর্বপ্রাণিভয়ঙ্কর ব্যাধি সকল উৎপন্ন হইয়াছে। ! সেই সকল ব্যাধির প্রশমনোপায় বলিতে আপনিই লোগ্য, অতএব কৃপা প্রদর্শন পূর্বক আমাকে আয়ুর্ব্বেদের উপদেশ প্রদান করুন। শতক্রতু (ইন্দ্র ) মুনিবাক্যে প্রত হইয়া যাহা শ্রবণ করিলে অর্থাৎ যাহার বিধান সকল প্রতিপালন করিলে—জীব নীরোগ হইয়া সহস্রবর্ষ জীবন লাভ করিতে পারে, সেই সাঙ্গ আয়ুর্ব্বেদ, মুনিবারকে উপদেশ প্রদান করিলেন। মহামতি ভরদ্বাজমুনি তন্মনা হইয়া ত্রিষ্কন্ধ ( হেতু, লিঙ্গ ও ঔষধাজ্ঞান বিষয়ক) অপার আয়ুর্ব্বেদ শাস্ত্র সমস্তই অচিরে যথাযথ হৃদয়ঙ্গম করিয়া লইলেন এবং সেই আয়ুৰ্বেদজ্ঞান দ্বারা স্বয়ং নিরাময় ও দীর্ঘজীবী হন এবং অন্যান্য মুনিগণকেও নীরোগ ও দীর্ঘায়ুঃ করেন। ঋষিগণ সকলেই ভরদ্বাজতন্ত্রজনিতজ্ঞান-নেত্রে দ্রব্য গুণ ও কর্ম্ম সকল দর্শন করিয়া এবং তদ্বিধামানুসারে চলিয়া আরোগ্য ও সুখকর দীর্ঘায়ুঃ লাভ করেন, অন্যান্য মুনিগণ ও আয়ুৰ র্বেদোক্ত নিয়ম প্রতিপালনে আরোগ্য ও ौिर्घडीबन ७वांशु दन। |