छांब्रjक 8 እ¢ কোনও উপায় নাই, বসিবার ঘরে দড়ির চারপাই হইতে উঠানের হনুমান ধ্বজাটি পর্য্যন্ত সব এদেশী । আমার ডাকে একটি বার-তের বছরের ছেলে বাহির হইয়া আসিল । আমায় দেখিয়া ঠোঁটু হিন্দীতে জিজ্ঞাসা করিল-কাকে খুঁজছেন ? YDDBB BDBDD tBtBB BB DDD D DDSGDB DmDD DBBD S D EBD টিকি, গলায় অবশ্য বর্ত্তমানে কাচ-সবই বুঝিলাম, কিন্তু মুখের ভাব পর্য্যন্ত হিন্দুস্থানী বালকের মত কি করিয়া হয় ? আমার পরিচয় দিয়া বলিলাম।---তোমাদের বাড়ীতে এখন বড় লোক কে আছেন, তঁাকে ডাক । ছেলেটি বলিল, সে-ই বড় ছেলে। তার আর দুটি ছোট ভাই আছে। বাড়ীতে আর কোন অভিভাবক নাই। বলিলাম-তোমার মায়ের সঙ্গে আমি একবার কথা কইতে চাই । জিজ্ঞেস क'rद्ध औ । খানিকটা পরে ছেলেটি আসিয়া আমায় বাড়ীর মধ্যে লইয়া গেল। য়াখাল বাবুর স্ত্রীকে দেখিয়া মনে হইল বয়স অল্প, ত্রিশের মধ্যে, সন্য বিধবার বেশ, কঁাদিয়া চক্ষু ফুলিয়াছে। ঘরের আসবাবপত্র নিতান্তু দরিদ্রের গৃহস্থালীর মত। এক দিকে একটা ছোট গোলা, ঘরের দাওয়ায় খান-দুই চারপাই, ছেড়া লেপ-কঁথা, এদেশী পিতলের ঘয়লা, একটা গুড়গুড়ি, পুরানো টিনের তোরঙ্গ। বলিলাম-আমি বাঙালী, আপনার প্রতিবেশী। আমার কানে গেল রাখালবাবুর কথা, তাই এলাম। আমার এখানে একটা কর্ত্তব্য আছে ব’লে মনে করি। আমার কোন সাহায্য যদি দরকার হয়, নিঃসঙ্কোচে বলুন। রাখালবাবুর স্ত্রী কপাটের আড়ালে দাড়াইয়া নিঃশব্দে কঁদিতে লাগিলেন। আমি বুঝাইয়া শান্ত করিয়া পুনরায় আমার আসিবার উদ্দেশ্য ব্যক্ত করিলাম। রাখালবাবুর স্ত্রী এবার আমার সামনে বাহির হইলেন । কঁদিতে কঁাদিতে বলিলেন-আপনি আমার দাদায় মত, আমাদের এই ঘোর বিপদের সময় ভগবান আপনাকে পাঠিয়েছেন।
পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৯
অবয়ব