পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Syb আরণ্যক শু্যামলতার মধ্যে নিজেকে নিজে হারাইয়া ফেলে, দক্ষিণে চাহিলে স্বচ্চ, নীল জলের ওপারে সুদূরবিসর্পী আকাশ ও অস্পষ্ট শৈলমালার ছবি মনকে বেলুনের মত ফুলাইয়া পৃথিবীর মাটি হইতে উড়াইয়া লইয়া চলে। এখানে একখানা শিলাখণ্ডের উপর কত দিন গিয়া একা বসিয়া থাকিস্তাম । কখনও বনের মধ্যে দুপুরবেলা আপন মনে বেড়াইতাম । কত বড় বড় গাছের ছায়ায় বসিয়া পাখীর কুজন শুনিতাম। মাঝে মাঝে গাছপালা, বন্যলতার ফুল BESLODS DBDDS ED DD BBBDBD BBt BDBBDB ELD DDDSDDBD মহালে অত পাখী নাই। নানা রকমের বন্য ফল থাইতে পায় বলিয়া এবং সম্ভবত উচ্চ বনস্পতি শিরে বাসা বাধিবার সুযোগ ঘটে বলিয়া সরস্বতী কুণ্ডীর তীরের বনে পাখীর সংখ্যা অত্যন্ত বেশী। বনে ফুলও অনেক রকমের ফোটে । হ্রদের তীরের নিবিড় বন প্রায় তিন মাইলের উপর লম্বা, গভীরতায় প্রায় DDBD DDD S SBDBBDBBD DD BB BBB BBB DBtBBBDB BDDK DBDDDD DiD সুড়ি পথ বনের শুরু হইতে শেষ পর্য্যস্ত আসিয়াছে-এই পথ ধরিয়া বেড়াইতাম । গাছপালার ফাকে ফঁাকে মাঝে মাঝে সরস্বতীর নীল জল, তার উপর উপুড়হইয়া-পড়া দূরের আকাশটা এবং দিগন্তলীন শৈলশ্রেণী চোখে পড়িত। ঝিাবুঝির করিয়া স্নিগ্ধ হাওয়া বহিত, পাখী গান গাহিত, বন্য ফুলের সুগন্ধ পাওয়া যাইত । একদিন একটা গাছের ডালে উঠিয়া বসিলাম। সে আনন্দের তুলনা হয় না। আমার মাথার উপরে বিশাল বনস্পতিদলের ঘন সবুজ পাতার রাশি, তার ফাকে ফঁাকে নীল আকাশের টুকরা, প্রকাণ্ড একটা লতায় থোকা থোকা ফুল দুলিতেছে। পায়ের দিকে অনেক নীচে ভিজা মাটিতে বড় বড় ব্যাঙের ছাতা গজাইয়াছে। এখানে আসিয়া বসিয়া শুধু ভাবিতে ইচ্ছা হয়। কত ধরণের কত নব অনুভূতি মনে আসিয়া জোটে। এক প্রকার অতল-সমাহিত অতি-মানস চেতনা ধীরে ধীরে গভীর অন্তস্তল হইতে বাহিরের মনে ফুটিয়া উঠিতে থাকে। এ আসে গভীর আনন্দের মূর্ত্তি ধরিয়া। প্রত্যেক বৃক্ষলতার হৃৎস্পন্দন যেন নিজের বুকের রক্তের শান্ত স্পন্দনের মধ্যে অনুভব করা যায়।