পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যক SYG আমাদের যেখানে মহাল, সেখানে পাখীর এত বৈচিত্র্য নাই । সেখানটা যেন অন্য জগৎ, তার গাছপালা, জীবজন্তু অন্য ধরণের। পরিচিত জগতে বসন্ত যখন দেখা দিয়াছে, লিবটুলিয়ায় তখন একটা কোকিলের ডাক নাই, একটা পরিচিত বসন্তের ফুল নাই। সে যেন রূক্ষ, কৰ্কশ ভৈরবী মূর্ত্তি ; সৌম্য, সুন্দর বটে, কিন্তু মাধুর্য্যহীন-মনকে অভিভূত করে ইহার বিশালতায়, রুক্ষতায় । কোমল-বিজিত থাড়ব সুর মালকোষ কিংবা চৌতালের ধ্রুপদ, মিষ্টত্বের কোন পর্দার ধার মাড়াইয়া চলে না-হরের গভীর উদাত্তরূপে মনকে অন্য এক স্তরে লইয়া পৌছাইয়া দেয়। − সরস্বতী কুণ্ডী সেখানে ঠুংরী, সুমিষ্ট সুরের মধুর ও কোমল বিলাসিতা মনকে আর্দ্র ও স্বপ্নময় করিয়া তোলে। স্তন্ধ দুপুরে ফাগুন চৈত্র মাসে এখানে আঁীর-তরুর ছায়ায় বসিয়া পাখীর কুজন শুনিতে শুনিতে মন কত দূরে কোথায় চলিয়া যাইত, বন্য নিমগাছের সুগন্ধি নিমফুলের সুবাস ছড়াইত বাতাসে, জলে জলজ লিলির দল ফুটিত । কতক্ষণ বসিয়া থাকিয়া সন্ধ্যার পর সেখান হইতে উঠিয়া আসিতাম। নাঢ়া বাইহার জরীপ হইতেছে প্রজাদের মধ্যে বিলির জন্য, আমীনদের কাজ দেখিবার জন্য প্রায়ই সেখানে যাইতে হয়। ফিরিবার পথে মাইল দুই পূব-দক্ষিণ দিকে একটু ঘুরিয়া ব্যাক্ট, শুধু সরস্বতী কুণ্ডীর এই বনভূমিতে ঢুকিয়া বনের ছায়ায় খানিকটা বেড়াইবার লোভে। সেদিন ফিরিতেছিলাম বেলা তিনটার সময়। খর রৌদ্রে বিস্তীর্ণ রৌদ্রদখে প্রান্তর পার হইয়া ঘর্ম্মাক্ত কলেবরে বনের মধ্যে ঢুকিয়া ঘন ছায়ায় ছায়ায় জলের ধায় পর্য্যস্ত গোলাম-প্রান্তরসীমা হইতে জলের কিনারা প্রায় দেড় মাইলের কম। DDDSBBDBBDDBDD DDD iDDD BBSBBKYDD DBB BDS tB tDD ঝোপের তলায় একখানা অয়েলক্লথ পাতিয়া একেবারে শুইয়া পড়িলাম। ঘন ঝোপের ডালপালা চারি ধার হইতে এমন ভাবে আমায় ঢাকিয়াছে যে বাহির হইতে আমায় কেউ দেখিতে পাইবে না । হাত-দুই উপরেই গাছপালা, মোটা