bryr আরণ্যক পূৰ্বরাগ বলিয়া উড়াইয়া দিতাম। ওখানে ইহার অভিনবত্ব ও সৌন্দর্য্যে মন মুগ্ধ হইল। দুইটি নরনারী কি করিয়া পরস্পরকে লাভ করিয়াছিল তাহাদের জীবনে, এ-ইতিহাস যে কতখানি রহস্যময়, তাহা বুঝিয়াছিলাম সেদিন। চা-পান শেষ করিতে সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া আকাশে পাতলা জ্যোৎস্না ফুটিল। अट्ठी केि नक्षुईी लिथेि । আমি বন্দুক লইয়া বলিলাম-চল রাজু, দেখি তোমার ক্ষেতে কোথায় শুওর। একটা বড় তুতাগাছ ক্ষেতের এক পাশে। রাজু বলিল-এই গাছের ওপর উঠতে হবে হুজুর। আজ সকালে একটা মাচা বেঁধেছি। ওর একটা দো-ডালায়। আমি দেখিলাম বিষম মুশকিল। গাছে ওঠা অনেক দিন অভ্যাস নাই । তার উপর এই রাত্রিকালে। কিন্তু রাজু উৎসাহ দিয়া বলিল-কোন কষ্ট নেই হুজুর। বঁাশ দেওয়া আছে, নীচেই ডালপালা, খুব সহজ ওঠা । রাজুর হাতে বন্দুক দিয়া ডালে উঠিয়া মাচায় বসিলাম। রাজু অবলীলাক্রমে আমার পিছু পিছু উঠিল। দু-জনে জমির দিকে দৃষ্টি রাখিয়া মাচার উপর বসিয়া अश्लिiभ अभिांत्रिांभि । জ্যোৎস্না আরও ফুটিল। তুতগাছের দো-ডালা হইতে জ্যোৎস্নালোকে কিছু স্পষ্ট, কিছু অস্পষ্ট জঙ্গলের শীর্ষদেশ ভারি অদ্ভুত ভাব মনে আনিতেছিল। ইহাও জীবনের এক নূতন অভিজ্ঞতা বটে। y একটু পরে চারি পাশের জঙ্গলে শিয়ালের পাল ডাকিয়া উঠিল। সঙ্গে সঙ্গে একটা কালো-মন্ত কি জানোয়ার দক্ষিণ দিকের ঘন জঙ্গলের ভিতর হইতে বাহির হইয়া রাজুর ক্ষেতে ঢুকিল। রাজু বলিল-ঐ দেখুন হুজুরআমি বন্দুক বাগাইয়া ধরিলাম। কিন্তু আরও কাছে আসিলে জ্যোৎস্নালোকে দেখা গেল সেটা শূকর নয়, একটা নীলগাই । নীলগাই মারিবার প্রবৃত্তি হইল না, রাজু মুখে "দুর দূৰ্ব’ বলিতে সেটা ক্ষিপ্রপদে জঙ্গলের দিকে চলিয়া গেল। আমি একটা ফঁাক আওয়াজ করিলাম ।
পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯২
অবয়ব