আরণ্যক মটুকনাথ উন্নতি করিয়াছে বলিয়াই তাহার। আজকাল খুব খাতির-সন্মানআমার কাছারির যে-সব সিপাহী ও আমলা মটুকনাথকে পাগল বলিয়া উপেক্ষা করিত-গোলাবাঁধার পর হইতে আমি লক্ষ্য করিতেছি তাহারা মটুকনাথকে সম্মান ও খাতির করিয়া চলে । সঙ্গে সঙ্গে টোলের ছাত্রসংখ্যাও যেন বাড়িয়া চলিয়াছে। অথচ যুগলপ্রসাদ বা গনোরী তেওয়ারীকে কেউ পোছেও না ! রাজু পাড়েও নবাগত প্রজাদের মধ্যে খুব খাতির জমাইয়া ফেলিয়াছে৷--জড়িবুটির পুটুলি হাতে তাহাকে প্রায়ই দেখা যায় গৃহস্থবাড়ীর ছেলেমেয়েদের নাড়ী টিপিয়া বেড়াইতেছে। তবে রাজু পাড়ে পয়সা তেমন বোঝে না, খাতির পাইয়া ও গল্প করিয়াই সন্তুষ্ট । মাস তিন-চারের মধ্যে মহালিখারূপের পাহাড়ের কোল হইতে লবটুলিয়া ও নাঢ়া বইহারের উত্তর সীমানা পর্য্যস্ত প্রজা বসিয়া গেল। পূর্বে জমি বিলি DDD DD BBDD BDBDBBDBD DDS DDB BBBB BB BDB D BDJSi DBDD দলে দলে লোক আসিয়া রাতারাতি গ্রাম বসাইয়া ফেলিতে লাগিল । কত ধরণের পরিবার। শীর্ণ টাটু, ঘোড়ার পিঠে বিছানাপত্র, বাসন, পিতলের ঘয়লা, কাঠের বোঝা, গৃহদেবতা, তোলা উনুন চাপাইয়া একটি পরিবারকে আসিতে দেখা গেল। মহিষের পিঠে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে, হাড়িকুড়ি, ভাঙা লণ্ঠন, এমন কি চারপাই পর্য্যন্ত চাপাইয়া আর এক পরিবার আসিল । কোন কোন পরিবারে স্বামী-স্ত্রীতে মিলিয়া জিনিসপত্র ও শিশুদের বঁাকের দু-দিকে চাপাইয়া বাক কঁধে বহুদূর হইতে হাঁটিয়া আসিতেছে। ইহাদের মধ্যে সদাচারী, গৰ্বিবত মৈথিল ব্রাহ্মণ হইতে আরম্ভ করিয়া গাদোতা ও সোসাদ পর্যন্ত সমাজের সর্বস্তরের লোকই আছে। যুগলপ্রসাদ মুহুরীকে জিজ্ঞাসা করিলাম-এরা কি এতদিন গৃহহীন অবস্থায় ছিল ? এত লোক আসছে কোথা থেকে ?
পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬০
অবয়ব