পাতা:আরণ্যক - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

୧୯୯୬ আরণ্যক এক একজন এক কুড়ি দেড় কুড়ি করিয়া খাইল-চোখে না দেখিলে বিশ্বাস করা শক্ত যে সেই জিনিস মানুষে অতি খাইতে পারে। DBD DDBBD BD SDD DBDBuBDBDB gDDBBDLD DBBDS श्यख्ध्रिा अभिाश् 6ाश् िछूधिा अनिल । -বাবুজী, এত রাত ক’রে ফেললেন ? আমি আর মা দু-জনে ব’সে আপনার জন্যে আলাদা ক’রে পিঠে গড়েছি—আমরা হঁ ক’রে বসে আছি আর ভাবছি। এত দেরী হচ্ছে কেন । আনুন বসুন। নকছেদী সকলকে খাতির করিয়া বসাইল। তুলসীকে খুব যত্ন করিয়া খাইবার আসন করিতে দেখিয়া মনে মনে হাসিলাম । ইহাদের এখানে খাইবার অবস্থা কি আর আছে ? সুৱতিয়াকে বলিলাম-তোমার মাকে বল পিঠে তুলেনিতে। এত কে খাবে? সুৱতিয়া বিস্মিত দৃষ্টিতে আমার দিকে চাহিয়া বলিল-ও কি বাবুজী, এই ক’খানা খাবেন না ? আমি আর ছনিয়াই তো পনর-ষোলখানা ক’রে খেয়েছি। খান-আপনি খাবেন ব’লে ওর ভেতরে মা কিসমিস দিয়েছে, দুধ দিয়েছেভাল আটা এনেছে বাবা ভীমদাসটোলা থেকে - খাইব না বলিয়া ভাল করি নাই। সারা বছর এই বালক-বালিকা এ-সব সুখাদ্যের মুখ দেখিতে পায় না । এদের কত কষ্টের, কত আশার জিনিস। ছেলেমানুষকে খুশি করিবার জন্য মীয়া হইয়া দুইখানা পিষ্টক খাইয়। ফেলিলাম । সুৱতিয়াকে খুশী করিবার জন্য বলিলাম-চমৎকার পিঠে। কিন্তু সব জায়গায় কিছু কিছু খেয়েছি ব’লে খেতে পারলুম না। সুৱতিয়া। আর একদিন gr a রাজু পাড়ের হাতে একটা ছোটখাটো বেঁাচক। সে প্রত্যেকের বাড়ী হইতে ছাদা বাধিয়াছে, এক একখানি পিষ্টকের ওজন বিবেচনা করিলে রাজুর বেঁচেকার ওজন দশ-বারো সেরের কম তো কোন মতেই হইবে না।