পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলছে । সারাদিন পাহারা দিয়ে তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখবে। ভেবেছে একজন ? এবার সে পালিয়ে গিয়ে সিনেমায় ঢুকবেই। বজাতটার সঙ্গে আর তো থাকবে না মরে গেলেও । বিহবল ভুবনের ক্লিষ্ট কাতর মুখের দিকে চেয়ে কেশবের রাগও হয় হাসিও পায়-মায়া হয় না । এবার ভুবন টের পেয়েছে যে বিয়ে করা বৌয়ের রূপকে পর্য্যন্ত শুধু পাহারা দিয়ে নিজের করে রাখা যায় না, তারও দাম দিতে হয়। মানুষ সমুদ্র পাহাড় মরুভূমি বনজঙ্গল তন্ন তন্ন করে খুঁজে আনে যা কিছুর দাম আছে। একটুকরো হীরের লোভে কত বড় বড় খনি খোড়ে । এমন অপরূপ দেহ মোহিনীর-আঁকা ছবিতে যে দেহের আশ্চর্য্য গঠন সৌন্দর্য্যে যৌবনের বিকাশ কৃত্রিম মনে হত, চোখ মেলে দু’দণ্ড পর্দার ছবিতে সেই জীবন্ত বাস্তব রূপ দেখে মানুষ খুসি হয়ে পয়সা দিতে প্রস্তুত। উপযুক্ত মূল্য না দিয়েই এই রূপকে ঘরের কোনে নিজের করে রাখার সাধ্য যেন ভুবনের আছে । এমন ভাবে পাহারা দিলেও সিনেমার ডাক ঠিক এসে পৌছে গেছে বন্দিনী মোহিনীর কাছে । দিনরাত চোখে চোখে রাখে। তবু কোন ফাকে মোহিনীর কাছে আহবান - এসে গেছে—চলে এসো, নিজের দাম বুঝে নাও । মোহিনীর ভাঙ্গাভাঙ্গা যে কয়েকটি কথা তার কানে গিয়েছে তার চেয়েও গভীর ভাবে সে ধরতে পেরেছে তার আসল তাৎপর্য্য । কেশবের মনে পড়ে যায় পুরানো ব্যাপারটা। খুব বেশী পুরানো নয়, বছর দেড়েক আগের কথা । কি সম্পর্কে ভাই হয় মোহিনীর, সিনেমা-জগতের সঙ্গে তার N O R