পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ললনাদের কলেজে নামিয়ে নিয়ে আরেকটা দুর্ঘটনা প্রত্যক্ষ করে কেশব । সামান্য দুর্ঘটনা। বাস থেকে যাত্রী নামতে নামতে বাস ছেড়ে দেয়, একজন বুড়ো মানুষ নামতে গিয়ে আছাড় খেয়ে পড়ে। ব্যথা পায়, এখানে ওখানে ছরে গিয়ে সামান্য রক্তপাতও ঘটে । তার বেশী কিছু নয়। বুড়ো কিন্তু এমন আর্ত্তনাদ করে আর রাস্তার লোক ধরে তুললে বাসের ড্রাইভারকে এমনভাবে গলা ফাটিয়ে গালাগালি দিতে থাকে। যে সঙ্গে সঙ্গে ভিড় জন্মে যায়। বাসটাকেও দাড়াতে হয় । পথের মানুষরাই দাড় করিয়ে দেয় । চালককে টেনে নামিয়ে আনে । দোষটা কিন্তু বুড়োর নিজের। তাকে দেখে আর তার চেঁচামেচি শুনেই টের পাওয়া যায় যে গায়ের লোক। বাস থেকে নামতে জানলে আছাড় খাওয়ার কোন কারণ ছিল না । চেঁচামেচি করে ওঠায় চালককে মারতে উদ্যত ক্রুদ্ধ জনতাকে উদ্দেশ্য করে বাসের কণ্ডাক্টর চীৎকার করে সে কথা জানায়। কিন্তু একা তার চেষ্টায় ড্রাইভার রেহাই পেত না ! বাসের কয়েক জন যাত্রীও তাকে সমর্থন করে জনতার বেপরোয় উত্তম মধ্যমের হাত থেকে এ যাত্রা ড্রাইভার বেঁচে যায় । বাস চলে যায়। বুড়োও গজর গজর করতে করতে একটু খুড়িয়ে হাটতে সুরু করে। ভিড় ছড়িয়ে যায়। কিন্তু দেহটা আবার অবশ্য মনে হয় কেশবের। চাবি টিপে গাড়িতে ষ্টার্ট দেবার শক্তিও সে যেন খুজে পায় না। অন্ধ যুক্তিহীন জনতা ! সেলুন গাড়ীর সেই প্রৌঢ় লোকটির আঘাতে গুরুতর হলে কিম্বা একেবারে মরে গেলে তাকেও তো আজ ক্রোধে উন্মাদ