পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চেয়ে পৃথক মানুষ ? ভিন্নরকম মানুষ ? কতগুলি যোগাযোগ ঘটে “তোমার বেলা সংঘাতটা দাড়িয়ে গেছে হিষ্টিরিয়ায়, এইমাত্র। আরও অনেকের বেলাও এরকম নিশ্চয় ঘটেছে। তুমি তেজী একগুয়ে মানুষ-এটা একটা বড় ফ্যাক্টর কিন্তু সেটাই আসল নয়। তুমি যদি আপসে চাকরী করতে কিম্বা অন্য কোন ভদ্র পেশা নিয়ে ললনাদের জগতের সঙ্গে ঘনিষ্ট হতে, ব্যাপার অন্যরকম হত । সংঘাত টা আসত। কিন্তু অবস্থা অনুসারে আপোষ করা সামঞ্জস্য করার ব্যবস্থাও হত । রোজগার কম হলে খানিকটা সামঞ্জস্য করে সংঘাত নিয়েই জীবন কাটাতে-বেশী রোজগার হলে ওদিকের মায়া কাটিয়ে ললনাদের মধ্যে ভিড়ে পড়তে। কিন্তু তুমি পেশা নিলে মোটর চালানোর-রিয়ালিটির সঙ্গে ঘনিষ্টত বেড়ে গেল । জীবনের রাফি সাইডটার পরিচয় পেলে । তোমার ওদিকের জীবনে, ললনাদের জীবনে, আরও উচুস্তরের বড় বড় লোকদের জীবনে কত ফাকি কত মিথ্যার রঙ চড়ানো সে সব তোমার কাছে ধরা পড়তে লাগিল । দুর্বল প্রকৃতির লোক হলে সংঘাতটা সইয়ে নেবার এড়িয়ে যাবার পথ খুজে নিতে,-নেশাটেশা করে জীবনটা খানিক বিগড়ে দিয়ে সামলে যেত। তেজ আর একগুয়েমির জন্য তোমার হল মুস্কিল । তুমি আপোষ করলে না—দুটাে জীবনকেই ভোগ করতে চাইলে । অসম্ভবকে চাইলে, স্বপ্নকে বাস্তব করার সাধটা আঁকড়ে ধরলে । ফল দাড়ালো হিষ্টিরিয়া । ডাক্তার দত্ত খানিকক্ষণ কেশবের মুখের ভাব লক্ষ্য করে বলে, আজকেই সবটা বুঝে ফেলা যাবে না । একা তোমার পেছনে অত -সময়ও দেওয়া যাবে না । ক্রমে ক্রমে খোলসা করতে হবে । ৪ সেরে যাব তো ? SR 9