পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথমে সে ভেবেছিল কারে সঙ্গে বুঝি বেরিয়েই গিয়েছে মোহিনী। তারপর ভেবেচিন্তে সে দমদমে শালার কাছে ছুটে যায়। বেরিয়ে যদি না গিয়ে থাকে। তবে ভাই-এর কাছেই যাবে, মোহিনীর আর কোথাও যাওয়ার যায়গা নেই । সেখানে গিয়ে জানতে পারে মোহিনী কারে সঙ্গে বেরিয়ে যায়নি, ভায়ের বাড়ীতেই গিয়েছে।

তাহলে বিপদ কিসের ?

ভুবন মুখখন কঁাদ কঁাদ করে বলে, আমার কাছে আর আসবে না বলে দিয়েছে ভাই । একবার দেখা পর্য্যন্ত করলে না । ভাইকে দিয়ে বলে পাঠালে এ জন্মে। আমার মুখ দেখবে না, ভাই-এর কাছে থেকে সিনেমার রোজগারে পেট চালাবে । ওখানে গিয়ে যদি বিরক্ত করি ভায়ের বাড়ী থেকেও বেরিয়ে যাবে । ভয়ে পালিয়ে এলাম ভাই । কেশব বলে, ঠিক করেছেন। অত ভাবছেন কেন ? ঝোঁকের মাথায় ভায়ের কাছে গেছে, কেকটা কেটে গেলেই ফিরে আসবে। এত বিবেচনা করছেন, আপনার দিকটা বিবেচনা করবেই না ? ভুবন মাথা নাড়ে ।

না, আমি টের পেয়েছি, ও আর আসবে না ।

মনে হয়। ভুবন বুঝি কেঁদেই ফেলবে। হঠাৎ সে কেশবের হাত চেপে ধরে বলে, তুমি একটিবার যাবে ভাই ? তোমার কথা মানে, তুমি গিয়ে হয়তো বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ফিরিয়ে আনতে পার । কেশবের মায়া হয় না । মনে মনে বরং হাসি পায় । ধীরে ধীরে বলে, পাগল হয়েছেন ভুবনন্দা, আপনার সঙ্গে দেখা পর্য্যন্ত SSY)