পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মতই ললনা গেল সিনেমায় সস্তা গান গাইতে । কেশব আজি টের পেয়েছে, মায়া আর ললন। একই মিথ্যার এপিঠ। আর ওপিঠ । মায়া থাকে ডোবা পুকুর বাশঝাড়ের অন্ধকারে আর ললনা থাকে আলোয় ঝলমল রেডিও আর মোটরগাড়ার হর্ণে উচ্চকিত লন- ওলা সুন্দর সাজান বাড়ীর পরিচ্ছন্ন পাড়ায় । মা বাপ ভাই বোন ভগ্নাপতির সুবিধা হচ্ছে না বলে ললনা। অগত্যা সিনেমায় ঢুকে লড়াই সুরু করেছে তাদের জগতটা পাণ্টে দেবার জন্য । কিন্তু তার নিজের দিকের হিসাবটা। তবে কি দাড়ায ? মায়া আর মায়ার জীবন ও জগতকে ভালবেসেও সে রাত্রির অন্ধকারে মায়াকে ভোগ দখল করেছে, তাকে বাধিবার জন্য মিথ্যা। মাযার ফাদ পেতেছে জেনেও সে তো মায়াকে এড়িয়ে যায়নি, এতটুকু রেহাই দেয়নি। মায়াকে । লালন আর তার জীবন ও জগতের টানে মাঘের হাড় কাপানো শীতের রাত্রি শেষেও ডোবায় ডুব দিযে প্রস্তুত হয়ে সে সা গ্রহে ছুটে গিয়েছে অনিমেষের গাউী চালানোর চাকরি করতে । দিনের শেষে সহরের আলোকময় রাত্রি সুরু হতে না হতে সে অবশ্য ব্যাকুল ভয়ে উঠতে সুরু করেছে মায়। আর চাদ ও তারার বেশী "আলোয় আধার করা জগতটায় ফিরে যাওযার জন্য-কিন্তু কত তুচ্ছ কারণে, ললনার সামান্য একটু প্রযোজনে, বছরের কত রাত তার কেটে গিয়েছে সহরেই। কানুর সঙ্গে দু’এক চুমুক দেশী মদ খেয়ে কতদিন সে মায়াকে অগ্রাহা করে সোজাসুজি ঘরে গিয়ে এক ঘুমে রাত কাটিয়েছে। ব্যাকুল মায়া একটা ছুতো করে বাড়ীতে এসে মেয়েদের সঙ্গে Տ ԳՀ