পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেড লাইন গুলিতে চোখ বুলোতে বুলোতে আজ গভীর ঘুম নেমে আসে কেশবের চোখে । বেলা চারটের সময় ললনাকে ৩ানতে ষেতে হবে। তার আগে কোন ডিউটি নেই। অবশ্য বাড়ীর মেয়েদের যদি হঠাৎ কোন খেয়াল না চাপে বা কোন প্রয়োজন উপস্থিত না হয় । এলাৰ্ম ঘড়িটা ঠিক করে মাথার কাছে রেখে সে শোয়। তিনটের সময় এলাৰ্ম বাজবে। চারটে পর্য্যন্ত, দূরে থাক তিনটে পর্য্যন্তও সে ঘুমোতে পারবে না জানে, অনেক আগে জেগেই পরে এলাৰ্ম শুনবে তবু কেশব এলার্ম ঠিক না করে শুতে পারে না। যদি না ঘুম ভাঙ্গে আজ ? কোনদিন ঘুম আসে কোনদিন আসে না। ঘুম এলেও ঘণ্টা খানেকের বেশী কোনদিন ঘুমোতে পারে না, তবু যদি नभश्व भङ न डांgश्न ? আজ সত্যই তার ঘুম ভাঙ্গল কানের কাছে ঘড়ির বাজনার আওয়াজে। এলাৰ্ম না বাজলে হয়তো আরও ঘণ্টা খানেক ঘুমের জের চলত । কত কাল তার এমন গাঢ় ঘুম হয় নি ? ঘড়ির বাজনা থামিয়ে দিতে দিতেই কিন্তু বুকটা তার ধড়াস করে ওঠে । অগান বাজিয়ে লালন গান করছে । কি ব্যাপার ? ঘড়ি ঠিক আছে, বাইরে রোদের দিকে তাকালেও বোঝা যায় তিনটের বেশী বেলা হয় নি। কোন কারণে আগেই কি কলেজে ছুটি হয়ে গেছে ললনার ? ট্রামে বাসে কিম্বা ট্যাক্সিতে সে বাড়ী ফিরেছে ? ললনর গানটা শুনতে শুনতে একটা চমক লাগে কেশবের । এই অসময়ে লালন তো গান করে না । 8