পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সায়েবী পোষাকে সিগার টানতে টানতে বেরোয় কিন্তু কেশবের তো অজানা নেই কিছুই । কপালের বদলে বুকে সে ফোটা চন্দনের নকসা আঁটে।-রবার ষ্ট্যাম্পের মত তৈরী করা নকসা । তামার পাত্রে ঘষে রাখা শ্বেতচন্দনের বাটার ষ্ট্যাম্পটা ডুবিয়ে ছাপ মারলেই হল—এক মিনিটও লাগে না । গাড়ী নিয়ে রাস্তায় নেমেই কেশব চাপায় স্পিড । আত্মারাম খাচা ছাড়া হবার উপক্রম হয়। বীরেশের । : আরে আরে, কি করছ পাগলের মত ? চাদিকে গাড়ী এত জোরে চালায় ? আস্তে চালাও ।

আস্তেই চালাচ্ছি। সার। আপনাকে তাড়াতাড়ি পৌঁছে দিয়ে আমি একটু জরুরী কাজে বেরোবি। হাতে একটা পয়সা নেই যে বিড়ি সিগ্রেট কিনি ।
তুমি বাবু আস্তে গাড়ী চালাও, মাইনে আজকেই মিটিয়ে দেব। : তাহলে ঠিক আছে। কেশব গাড়ীর স্পিড কমিয়ে দেয় । আপিসে পৌঁছেই তার মাইনে দিয়ে বীরেশ তাকে সঙ্গে সঙ্গে

বরখাস্ত করে দেয় ।

বিনা নোটিশে তাড়াচ্ছে, পনের দিনের মাইনে বেশী দিতে

হবে। সার । ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তার মুখের দিকে চেয়ে বীরেশ নীরবে আরও পনের দিনের বেতন তাকে দিয়ে দেয় । অনিমেষের কাছে সে শুনেছিল লোকটার মাথায় ৯ছিট আছে,-মাথা বিগড়ে গেলে যা খুলী করতে পারে, নিজে বাঁচবে কি মরবে গ্রাহ S