পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করে না । সত্যই তো, কি স্পিড চাপিয়েছিল। গাড়ীতে । এ্যাকসিডেন্ট হলে কেবল সে নয়, নিজেও যে মরবে। এটা খেয়ালও করেনি। কাজ নেই বাবা, এসব মানুষকে চটিয়ে কাজ নেই। পনের দিনের মাইনে আদায় করেও কেশব কিন্তু ছাড়ে না। বলে, আমার বাড়ী যাবার গাড়ী ভাড়াটা সারা ? ঃ কত ?

আজ্ঞে মোটে দশ পয়সা ।

পরদিন কাক-ডাকা ভোরে কেশব হাজির হয় কানুর বাড়ী । কানুকে তার অসুখ সম্পর্কে সংবাদটা জানাতে হবে । একটা কাজের কথাও বলতে হবে । কান্তর বিয়ে আবার পিছিয়ে গেছে । কারখানার দুর্ঘটনার জন্য ঠিক করা তারিখে বিয়েটা হয়নি। এই মাসে বিয়ের আরেকটা যে শুভদিন বাছা হয়েছিল তার সাতদিন আগে বেলার ঠাকুমা গেছে মারা । একমাস আশৌচ যাবে। তারপর মাস দেড়েকের মধ্যে একটাও বিয়ের তারিখ নেই । তিন মাস পরে যদি হয় তো হবে তাদের বিয়ে । টিনের ছোট পুরানো বাড়ী । দু’খানা মোটে ছোট ছোট ঘর আর একফালি বরানন্দ । কানু তাকে বারান্দার বসায় । ঘরের মধ্যে একটা চেনা মুখকে আড়ালে সরে যেতে দেখে কেশব ऊञ्ज ८ । । Yber o