পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: ব্যাঙ্কটা ফেলে পড়েছে শুনলাম । হরেন। কটমট করে তার দিকে তাকায়। ব্যাঙ্ক ফেল পড়ার অপরাধটা যেন তারই । তারপর একটা সিগারেট ধরিয়ে কয়েকবার কানু আর তফাতে দাড়ানো মিস্ত্রি-মজুরদের দিকে চেয়ে দেখে। সুধীরকে বলে, সেই টাকা থেকে দিয়ে দাও । কোন টাকা সেটা আর বলার প্রয়োজন হয় না । সুধীর বলে, আচ্ছা । হাপ্ত পেয়ে কানু তাকে দেশী মদের দোকানে টেনে নিয়ে যায়। * থা দিকিনি একটু আজ। কিরকম ম্যাদা মেরে যাচ্ছিস দিন দিন ? : শরীরে কেমন যুৎ পাচ্ছি না। ঃ হয়েছে কি ? : কে জানে। রোগ-ব্যারাম তো কিছু টের পাই না। দু’নম্বর জলে মদের পাইট থেকে তার গেলাসে আউন্সখানেক ও নিজের গেলাসে চারপাচ আউন্স ঢেলে কানু বলে, এত কি ভাবিস বল তো ? সারাক্ষণ ভেবে ভেবে তোর নিজেকে কাহিল। লাগে। একটা ম্যাগ নেই পুত নেই অত তোর ভাবনা কিসের ? ফু দিয়ে ফুর্ত্তি করে বেড়াবি। এক একটা লোক থাকে মিছি মিছি ভেবে মরে । মদটা গিলে হেসে বলে, খবর আছে, মস্ত খবর। ও মাসের তেরো তারিখে সাদি করছি । কেশব উৎসুক হয়ে প্রশ্ন করে, সেটাকে ? মুখ বাকিয়ে মাথা নাড়ে কানু, নাং, ওর বাপ শালা বড় একগুয়ে। কিছুতে রাজি হল না। এ অন্য একটা মেয়ে, মা দেখে পছন্দ করেছে। ছোট একটা মনোহারী দোকানের মালিক, তার তের চোদ্দ বছরের কচি মেয়ে । মেয়েটাকে পছন্দ হওয়ায় কানুর সংসার করার সাধ S R