পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলোয় যেন দিন আর পূর্ণিমা রাতের আলোর সমন্বয় ঘটেছে। এরকম মনোহারী দোকান আশেপাশে কাছাকাছি আর নেই। এ এলাকাতেই নেই। অনেকটা পথ হেঁটে সীমান্তের লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে খাটি সহরের আওতায় গিয়ে এরকম দোকান খাঁজে নিতে হবে । কিন্তু হেঁটে পয়সা খরচ করে সেখানে গিয়ে যে সৌখীন জিনিষটা দরকারী জিনিষটা যে দামে কিনবে- সে জিনিষটা সেই শরতের এই দোকানে । যুদ্ধের শেষে দোকানটা খুলে শরৎ এই কথা ঘোষণা করেছিল— বিশ্বাস না হয়, পরখ কর । সহর থেকে যে জিনিষটা যে দামে আনবে ঠিক সেই দামে সেই জিনিষ যদি আমার কাছে না পাও, মাল আনার খরচ বলেও যদি দুটো পয়সা বেশী নিই, কান কেটে ফেলব তোমাদের जभCन्म । শরতের দেওয়া বিড়িটা একবার টেনে দশবার কেশে বুড়ো আঙ্গিতনাথ বলেছিল, দু’চারটে পয়সা বেশী নেবে বৈকি বাবা । মাল আনতে খরচ লাগে না ? শরত হেসে বলেছিল, না ঠাকুর্দা ওটা ইস্কুলে শেখানো হিসেব, ব্যবসার হিসেব নয়। রোজ পাড়া থেকেই তিন চার শো লোক সহরে কাজ করতে যায় দ্যাখে না ? পেষ্ট বল ব্লেড বল পাউডার সিদুর যাই বল-ওরা তো আনবেই নিজেদের দরকার মত, অন্যেরা পয়সা দিলে তাদের জন্যও এনে দেবে। এক পয়সা বেশী নিই না বলেই লোকে এখান থেকে কেনে। দোকান করে লাভ নেই। শরৎ একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলেছিল । তার দোকানে ডজন ডজন দাড়ি কামাবার ব্লেড কিন্তু মুখে তার RNV