পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কি যেন চাপ দিচ্ছে তাড়াতাড়ি এই শান্ত ভাবালু পরিবেশ ছেড়ে লেভেল ক্রসিংএর ওপারে পালিয়ে যেতে। অনিমেষের রঙীন তকতাকে বাড়ীর লনের পাশে গ্যারেজের লাগাও তার পরিছন্ন ঘরটিতে গিয়ে না বসলে, বাড়ীর ভিতর থেকে ললনার গানের সুর কানে না এলে তার স্বস্তি নেই । কিন্তু দিনান্তে আবার যে সে ক্রমে ক্রমে পাগল হয়ে উঠবে এখানে ফিরে আসতে ? ঘাটে দাড়িয়ে গা মুছছে মায়া, একটা গেলাস হাতে নিয়ে এসে বলে, টাটকা দুধ দুয়ে নিয়ে এলাম। এক চুমুকে খেয়ে ফেল । রোজ তোমাকে এক গ্লাস দুধ খেতে হবে।

হঠাৎ দুধ কমে গেলে বাড়ীতে কি বলবে ?

ত হিসেব রাখে। সবাই । খানিকটা জল মিশিয়ে নেব । তিন নিয়মিতভাবে না হলেও পালা করে কমে বাড়ে—কেশবের অদ্ভুত রোগটা । হয় তো বেশ ভালই আছে ক”দিন । শরীর তাজা, মনে ফুর্তি, জোর করে ঘুম ঠেকিয়ে মায়ার সংকেতের জন্য সাগ্রহে প্রতীক্ষা করা, জীবনটা ধন্য মনে করা যে এই রুক্ষ কঠোর স্বার্থপর হৃদয়হীন জগতে মায়ার এমন ভালবাসা পেয়েছে, এমন ভাবে সে ভালবাসতে পেরেছে মায়াকে । স্বপ্নের মতই কি ভাবে কি কারণে যেন শেষ হয়ে যায় সুস্থ সুন্দর দিনগুলি। আসে নিদারুণ দুঃস্বপ্নের পালা । মাথা ঘোরে। বুকের মধ্যে টিপ চিপ করে হঠাৎ ধরাস করে ওঠে বুকটা । এলোমেলো খিদে পায়, কখনো অসহ চনচনে খিদে, NOQ