পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়ার কথার কোন মানে হয় না । স্নেহ মমতা পাওয়া না পাওয়া নিয়ে তার কোন নালিশ নেই । মেহের অভাবে কারো এরকম অসুখ হয় । কবে সুরু হয়েছিল অসুখ ? কিসে এর সূত্রপাত ? তন্ন তন্ন করে নিজের অতীত জীবন খুঁজে কেশব এ প্রশ্নর জবাব পায় না । মনে হয়। এ যেন তার জন্মগত বিকার, সারা জীবনে মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে । বয়স বাড়ার সঙ্গে ক্রমে ক্রমে প্রকট হয়েছে লক্ষণগুলি । ধীরে ধীরে তার জীবনের গতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে । নিজের বড় হওয়াটা যেমন খেয়ালে আসে নি। বড় হওয়ার আগে, অসুখের বাড়িটাও তেমনি খেয়াল করেনি লক্ষণগুলি সুস্পষ্ট হওয়ার আগে । আজ যে ভেঁাতা। কষ্টকর ঝিম ধরা ভাব ঘুম ঠেকিয়ে রাখে, এটাই হয় তো ছিল আগেকার দিনের সেই রাত জেগে ব্যর্থতা আর হারমানার হিসাব কষতে কাষতে লজ। আর গ্লানি বোধ করা । আজি যে আতঙ্কের জন্য ঘুমের ওষুধ খেতে পারে না, একদিন এটাই হয় তো ছিল তার অন্ধকারের ভয় । যাই হোক, মোট কথা এই যে তার জীবন আর এই অসুখ এক जigथ १ोंiथ । এ জীবনে তার রেহাই নেই। ললনা খুব মিশুক । ব্যাপকভাবে সামাজিক মেলামেশাটা বাড়ীর সকলেরই ধর্ম্ম, একমাত্র অনিমেষের বুড়ি মা ছাড়া। কেবল ছুটির দিন নয়, অন্যান্য দিনেও প্রায়ই সন্ধ্যার পর সকলে আত্মীয় বন্ধুর বাড়ী যায়। 8 V)