পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাই নি, খেয়ে বলবে আমি খাই নি, কোথায় একটু নিয়েও যাবে না, ঘর থেকে বেরোতে দেবে না । এমন বিশ্রী লাগে । প্রাণটা বোধ হয় তার ছটফট করছিল। এই কথাগুলি কাউকে শোনাবার জন্য। কথাগুলি বলেই সে এগিয়ে যায়। এত বিব্রত ছিল কেশবের মন, তবু আজকেই প্রথম তার খেয়াল হয় যে পুকুরে গামছা পরে নাওয়া আর ভিজে কাপড়ে বাড়ী ফেরাটা মেয়েদের লজ্জাহীনতা বা অসভ্যতা নয়, নিছক দুৰ্দশ ! ক’টা পুকুর আছে আশে পাশে । মেয়েদের নাইতে তো হবে ! পুকুর ছাড়া নাইবে কোথায় ? পুকুর পাড়ে খোলা জায়গায় কাপড় ছাড়া ঢের বেশী লজাকর, তার চেয়ে ভিজে কাপড়ে বাড়া ফেরার অসভ্যতাটুকুই ভাল । উপায় কি ? বোসপাড়ার রাস্তার মোড়ে ভুবনেশ্বরের সঙ্গে দেখা । তার হাতে ওষুধের শিশি।

কার ওষুধ ভুবনন্দ । ঃ তোমাদের বৌঠানের, আবার কার । জম্বর বাধিয়ে বসেছে। জ্বর যতটা নয়, গায়ে জালাপোড়া বেশী ।

তাই বটে । ভুবন গিয়েছে ডাক্তারের কাছে ওষুধ আনতে সেই ফাকে মোহিনী গা জ্বালা পোড়ার চিকিৎসাটা সেরে রেখেছে। পুকুরে ডুব দিয়ে এসে। রোগ সম্পর্কে জীবন সম্পর্কে মায়ারও এমনি অবজ্ঞা। ভূতের ভয়ে মূৰ্ছা যাক, জ্বর গায়ে স্নান করে মরে পেত্নী হয়ে সেই ভূতের দেশে যেতে এদের আপত্তি নেই। 切ーペ