ড্রাইভার না হলে এত আল্পের উপর দিয়ে রেহাই পাওয়ার আশা সত্যই কম ছিল । কে জানে কি ভাবে মাথা ঠাণ্ডা রেখেছিল কেশব। এতক্ষণ এই কথাই তারা বলাবলি করছিল নিজেদের মধ্যে । সামনের গাড়ীটার সঙ্গে ধাক্কা লাগবেই জেনে সেটা এড়াবার চেষ্টায় সে দিশেহারা হয়ে বিপদ ঘটায় নি। পাশ কাটাবার চেষ্টা করলেই সেলুনটার উপরে গিয়ে পড়তে হত কোণাকুনি ভাবে। ফলটা হত ঢের বেশী খারাপ। তাই, পাশ কাটাবার বদলে আরও সোজাসুজি সেলুন গাড়ীর উপরে গিয়ে পড়বার জন্যেই সে উণ্টো দিকে চাকা একটু ঘুরিয়ে দিয়েছে। ঃ এত সব ভাবলেন। কখন ? কেশবের মুখে ছিল একটা অদ্ভুত থমথমে ভাব। চাউনিটা যেন ভোতা হয়ে গেছে । টোক গিলে সে বলেছিল, ভাবিনি তো । মনে হল এরকম করলে কথাটা সে শেষ করেনি । ঝাকি তাদের লেগেছে, বাইরেও লেগেছে ভেতরেও লেগেছে। একটু সময়ও লেগেছে সামলে উঠতে। কিন্তু পাকা ড্রাইভার কেশবের হল কি ? এমনি তার মাথা ঘুরছে যে গাড়ীই চালাতে পারবে না ! আবার একটা সিগারেট ধরাল যে । ললনার গাড়ীতে চেপে গীতা স্কুলে পড়াতে যায়। ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটায় সে এবার প্রায় মালিকের মতই ধমক দিয়ে কেশবকে বলে, ছেলেমানুষি করবেন না । চোট লাগেনি কিছু না, গাড়ী চালাতে পারবেন না কেন ? কেশব গলাটা সাফ করে বলে, কি রকম যেন লাগছে আমার । G