পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুগে মরে। তাই মনে হয় আমরা বুঝি মস্ত চালে চলি, লাখাপতিদের মত মজা লুটি । চালটা কোথায় ? মজাটা কোথায় ? এই তো একটা বাড়ী, দিদিরা এলে ঘরের ব্যবস্থা কি হবে ভাবতে হয়। এই তো একটা গাড়ী । ফার্ণিচারগুলো দরকারী, শাড়ী কাপড় পোষাকগুলো দরকারী। বাড়াবাড়িটা কোথায় ? কেশব স্থির দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে ? : ওই গরীবদের সঙ্গে তুলনা করলে তবেই বলা যায় চালে আছি, বাড়াবাড়ি করছি। এত লোকের ভাঙ্গা কুঁড়ে, আমাদের কেন মডার্ণ ফ্যাশনের পাকা বাড়ী থাকবে ? এত লোকে গরুর গাড়ীতেও চাপতে পায় না, আমরা কেন মোটর গাড়ীতে চাপাব। এত লোকের চুলে জট গায়ে মাটি, নেংটি পরে আধাপেট খায় আবার না খেয়েও মরেআমরা কেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকিব, ভাল পোষাক পরব। ভাল খাবার খাব ? ললনা বেশ বলতেও পারে। গানের চাপা আবেগটা বোধ হয় কথায় মুক্তি খুজছে।

হাবাতের সঙ্গে তুলনা করলে তবেই মনে হবে। আমরা বিলাসী। নইলে আজকের দিনে এটুকু সুখ সুবিধা মানুষ ভোগ করবে না ? আরও বেশী পাওয়া উচিত। সেটাও বিলাসিত হবে না, চাল হবেনা। এ পর্য্যন্ত বেশ লাগে৷ ললনার কথাগুলি । সহজ কথা, কেশব বুঝতেও পারে মানতেও পারে। সত্যই তো, মানুষের সভ্যতা ভাল DBBD D DD BBB DBDDBD DBS DBDDBDBDB BBB DBDBDBDS

গাড়ী থাকা বাড়ী থাকা সোফা টেবিল আলমারি থাকা পরিচ্ছন্নতা আর একটু শোভা ও সৌন্দর্য্যের ব্যবস্থা থাকা, সুবেশ ও সুস্বাদু। খাদ্যে রুচি থাকা-আজকের দিনের সভ্যতার মাপে এসব তো নিছক bፓኂፓ”