পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাথমিক ব্যাপার, সামান্য ব্যাপার। এ সমস্তকে বিলাসিত বা চাল বলতে হলে তার মানে দাড়ায় একমাত্র ভেকধারী সন্ন্যাসীর বিলাসিত বা চাল নেই! কিন্তু তার পরেই ললনা সব গুলিয়ে দেয়। বলে, গরীবের ঘাড় ভেঙে আমরা যদি টাকা জমাতাম তাহলেও বরং বলা চলত । তার অজ্ঞতায় কেশব পর্য্যন্ত আশ্চর্য্য হয়ে যায় । : গরীবের ঘাড় ভেঙ্গে যারা টাকার কঁাড়ি করে তারাই আপনাদের CM3 ঃ দেয় না, আমরা আদায় করি। আমাদের ছাড়া ওদের চলে না ! ঃ গরীবদের ছাড়াও চলে না । আপনাদের টাকাও আসলে গরীবের টাকা। ওরা গরীবকে শোষণ করে, আপনারা তারই একটু ভাগ পান। ললনা একটু হাসে।-টাকা আবার গরীবের বড়লোকের ছাপ মারা হয় নাকি ।

হয় না ? বইয়ে কি লেখে জানিনা, সে বিদ্যে নেই, সোজা কথায় বুঝি আমার টাকা। আপনি কেড়ে নিলে সেটাকে আমার টাকাই বলব । দশজনকে গরীব করে একজন তাদের টাকা নিলে সেটা গরীবের টাকা হল না ?

কে জানে ললনা মেনে নেয় কি না তার কথা ! অথবা তার সঙ্গে তর্ক করতে চায় না বলে চুপ করে যায়। লালনার মধ্যে একটা অস্থিরতা দিন দিন বাড়ছে লক্ষ্য করা যায়। সারাদিন সে যেন ছটফট করে বেড়ায়। কতবার যে উদ্দেশ্যহীনভাবে বসবার ঘরে আসে, একটু বসেই উঠে দাড়ায়, লনে নামে, গ্যারেজে ঢুকে চুপচাপ দাড়িয়ে খানিকক্ষণ শুধু গাড়ীটার দিকে চেয়ে থেকে ফিরে যায়। 切”。