পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবার আক্রমণ হয়নি, রোগ হয় তো তার সত্যই সেরে গেল । কিন্তু তেমন খুন্সী মনে হয় না৷ ললনাকে । রোগ সারাবার জন্য যে মূল্য তাকে দিতে হয়েছে সেটা বোধ হয় তাকে পীড়ন করছে খুব। অন্যের লেখা গান অন্যের দেওয়া সুরে যে গায় সেও সৃষ্টিই করে, প্রাণের আবেগ খরচ না করে যন্ত্রের মত গেয়ে কেউ মানুষকে মাতাতে °८ । । সেদিন বিকালে বেরোবার আগে কেশব জানায়, তেল নিতে হবে । ললনা বাড়ীর ভেতর থেকে ঘুরে এসে বলে, থাকগে আজ আর বেরোবি না । কেশব বলে, বেণীবাবুর ওখান থেকে এমনি পাওয়া যাবে। দাম পরে দিলেও চলবে । লালন বলে, না:, ধারে তেল কিনে বেড়াব না । उाड5 শুনেছিল আনিমেষের পদোন্নতি হয়েছে, কিছু মাইনেও বেড়েছে । কিন্তু সকলের রকম সকম দেখে মনে হয় তার যেন সর্বনাশ হয়ে গেছে । নতুন গাড়ী কেনার কথা বললে ললনা বলে যে গাড়ীটা নতুন হলে C(Ob (WS2 &V তেল কেনার টাকার অভাবে তার বেড়ানো বন্ধ রাখতে হয় । তারপর সে জেনেছে ব্যাপার । কিছু বেশী বেতনের নতুন একটা পদে উন্নতি হওয়াটা সত্যই অভিশাপ দাড়িয়ে গেছে অনিমেষের । এ পদে উপরি আয় নেই একটি পয়সা । তাই বটে ; এরকম একটা বাড়ী করে মাইনে করা ড্রাইভার, Ni o