পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s - প্রবর্তিত হয় নাই; ভারত চিরকালই ধর্ম্ম । করিয়াছে, তখনই অকৃতকার্য হইয়াছে, | হয় ধর্ম্মশাস্ত্রের কেবল প্রতিধ্বনিরূপে | লক্ষ্য নহে। দার্শনিকেরা সমাজতত্ত্বের করিতে গিয়া, মানব যে সমাজভূক্ত প্রাণী, আষাঢ় ১২৮২। * , যৌবন ললামময়, দুঃখের জীবনে, যে দিন ধরণীতলে, বিশ্রামিব কুতূহলে, ধর্ম্ম নীতি। جسے بسے ভারতে ধর্ম্মনীতি কখন স্বতন্ত্রভাবে শাস্ত্রের নিদেশবর্ত্তী হইয়া চলিতেছে। ভারতে যুক্তি যখনই স্বাধীন হইতে চেষ্টা পরিণত হইয়াছে, না হয় চাৰ্বাকতা ও নাস্তিকতায় পর্য্যবসিত হইয়াছে। পারলৌকিক ও অতীন্দ্রিয় বিষয়ের গবেষ. ৭াই ভারত-দর্শনের প্রকৃত কার্য্য ; প্রত্যক্ষ ও ঐহিক তত্বের নিরূপণ তাহার চরম পর্যালোচনায় কখন প্রবৃত্ত হন নাই ; তাহারা মানবের নিয়তি বিষয়ে চিন্তা

-চরিত্র তত্বনির্ণয়ে যেরূপ প্রতিভাত হয়, তাহ অতীব কৌতুকাবহ। আমরা ফ্রান্স ও ইংলণ্ডের ধর্ম্মনীতিবিষয়ক গবেষণার কিঞ্চিৎ বর্ণন করিয়া তাহার দৃষ্টান্ত দিব। - ফুঙ্গি প্রধানতঃ কৃষিজীবী। কৃষিজীবিগণ অল্পে সন্তুষ্ট এবং তাহদের মনে প্রকৃতিপ্রেম সর্ব্বদা জাগরক থাকে। পরস্তু কৃষিজীবিগণের মধ্যে পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বিতা তত খরতর না হওয়াতে, তাহারা পরস্পরের প্রতি যেরূপ সমদু:খমুখত প্রকাশ করে, আর কাহারও মধ্যে তেমন দেখা যায় না। তদনুসারে দৃষ্ট হয় যে প্রকৃতিপ্রেম, প্রফুল্পতা, ও পরস্পরান্নুরাগ ফান্সের জাতীয় চরিত্রের প্রধান ভিত্তি। সময়ে } তাহা ভাবিয়া দেখেন নাই। তন্নিবন্ধন মুক্তি ও নির্ব্বাণ তাহদের গবেষণার চরম | | ফল হইয়াৰ্নাড়াইয়াছে। বিজ্ঞানের উৎকর্ষ ও সমাজের উন্নতি তাহার মধ্যে স্থান প্রাপ্ত হয় নাই। এই প্রকার পরলোক পরায়ণতা ও মুক্তিপ্রবণতাই ভারতীয় | চিন্তার ওড়ন ও পাড়ন, এবং ভারতের জাতীয় চরিত্রের প্রধান উপকরণ। জাতীয় সময়ে ফান্সের দুরাকাঙ্কা হইতে অনেক অত্যাচার ও পরধর্ষণ হইয়াছে সত্য | কিন্তু তাহার ফল চিরস্থায়ী নহে। প্রত্যুত | মানবজাতির দুঃখপরিহারার্থ ইয়ুরোপে যে | সকল উদ্যম হইয়াছে, ফান্স তাহাতে | সকলের অগ্রগণ্য হইয়া কার্য্য করিয়াছেন । এবং নিজের গুরুতর ক্ষতি সহ্য করতে কুষ্ঠিত হন नारे। আরবদিগের बया- .