পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ শ্রাবণ ১২৮২ ৷ রামপ্রসাদ সেন । | য়াছে ! বাস্তবিক রামপ্রসাদের বাকৃভঙ্গি | अडि চমৎকার ; আর কোন কবির { ভাষায় সেরূপ ভঙ্গি দেখা যায় না। o মৃত্যুকে তুচ্ছজান কেন, দেবতাকেও # তিনি, সাধন বলে এবং সাধুজীবনের সৎসাহসে পুর্ণ হইয়া, সন্তান যেমন জনক জননীকে নিতান্ত আপনার ভাবিয়া বলগর্ব্বিত বাক্যে উক্তি করে, তেমনি বলদৰ্পে সম্বোধন করিয়াছেন। যে গীত গুলি এই প্রকার ধর্ম্মসাহসে পরিপূর্ণ, সেই গীতগুলি গাছিবার সময় আমরা যেন তক্রপ সাহসে পূর্ণ হই, দেবগণকে হেরজ্ঞান হয়, এবং দেবভাব অন্তরে উদ্রিক্ত হইয়া পশুভাবকে প্রতাড়িত করিয়া দেয়। তখন মনে হয়, আমরা দেৱতার সম্ভান, স্বৰ্গধাম আমাদিগের স্বদেশ, মৃত্যু তাহার সোপান। তবে | মৃত্যুকে ভয় কি ? দেব-অসি করে ধারণ করিয়া, মাতৃসদৃশ সমগ্র পাপবৈরী ছেদন করিতে পারিলে শিবও আপন বক্ষ | পাতিয়া আমাদিগকে স্থান দান করিবেন। তখন মনে মনে আর একবার আমরা | শ্যামাপূজা করি, ধর্ম্ম অথবা শক্তির উপা| সৰু হই। রামপ্রসাদের হৃদয়ভাব আমা" দেৱ হৃদয়ে সমুদিত হয়। তাহার হৃদয় | অমনি আমাদের হৃদয়ে মিলিয়া যায়। তখন আমরা শিবশঙ্করীকে দেবভাবে }পর্যবেক্ষণ করি। তাঁহাতে ঐশ্বরিক ol সামান্য ভাষায় কেমন প্রকাশিত হই, একবার আপনার জ্ঞান করি, মৃত্যুকে । দেখি। উহাতে মানবীয় দেব ভাব দেখি। তঁহাতে ধর্ম্মের জয় দেখি, তাহাতে স্ত্রীজাতির ভক্তিভাবের প্রাবল্য দেখি । শাস্তুশীল শিবের হৃদয় হইতে কালীরূপী শক্তি উদ্ভূত দেখি । দেবশক্তি কেমন .প্রবল, তাহ ধর্ম্মের অসি ও পাপবৈরগণের মুণ্ডমালায় প্রতীত করি। তখন হৃদয় কালীময় হয়, শক্তিতে পরিপূর্ণ হয়। ভবের ঐশ্বর্য্য, ধর্ম্মের শান্তিভাব, শক্তিরই পদতলে। যাহার ধর্ম্মশক্তি আছে,—সম্পদ, শাস্তি ও | স্বথ তাহার পদতলে। একবার এই ৷ ভাবে প্রমত্ত হই, রামপ্রসাদের মত ज्रांभद्रां७ बिडूदन छद्र कब्रि । हेश कि দেবপূজা, না ভক্তি ও ধর্ম্মশক্তিতে পরিপূর্ণ হওয়া ? যে প্রসাদী গীতে এতদূর শক্তি, সে প্রসাদী গীত কি বঙ্গবাসী সকলেরই আদরণীয় নহে ? সকলেরই গৃহে সেই প্রসাদী গীতের এক একখানি গ্রন্থ রাখা কি উচিত নহে? বঙ্গভাষী সে গীত কি কখন ভুলিবে ? যে গীতের তুল্যগীত কোন ভাষায় নাই, বঙ্গভাষাকি সে গীতসংগ্রহের জন্য যত্নশীল হইবে না, সেই মহার্য রত্ন পরিধান করিবার জন্য ব্যগ্র হইবে না? তবে আর বঙ্গভূষা কি ভূষণে | ভূষিত হইবে ? তাহার শ্রেষ্ঠ কবিগণ তাহাকে যে ভূষণদাম কণ্ঠে অর্পণ করিয়া | ছেন, সন্তানের ভক্তিমাল্য বলিয়া সে হার যদি না পরিধান করেন, তবে বঙ্গভাষাকে ८क श्रांद्र শোভিত করিতে চাহিৰে * | বরভাষার এখন উচিত এই হার সযত্নে |