পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

|ss আর্য্যদর্শন | বৈশাখ •રન્સ s ন হইলে আর আমাদিগের রমণীগণের প্রকৃষ্ট উন্নতি সাধন হইবে না। তাহাদিগের আধুনিক পশুবৎ ও দাসীর অবস্থায় প্রকৃত ধর্ম্মজীবন অসম্ভব। তাহাদিগের এমত জ্ঞান ও বিদ্যাবুদ্ধি নাই, যদ্যার ভাল মন্দ বিচার করিয়া লয়। নিজে | সদসৎ বিবেচনায় যাহারা সমর্থ নহে, অগত্য তাহাদিগকে অপরের বিবেচনার উপর নির্ভর করিতে হয়। কিন্তু ক্ষোভের বিষয় এই যে, যাহাদিগের বিবেচনার উপর রমণীগণ নির্ভর করিবে তাহার অপর জাতি ও একপ্রকার বিপক্ষ জাতি । কারণ | দুই জাতির স্বার্থ কখন এক হইতে পারে | না। পুরুষ জাতির যাহাতে সম্পূর্ণ সুখ | স্বচ্ছন্দতা, স্ত্রীজাতির তাহাতে ঘোর অমুখ ও অধীনতা। একের অবনতিতে অপরের উন্নতি নির্ভর করে । নারীকুল সম্বন্ধে পুরুষ জাতি যে সমস্ত ব্যবস্থা নির্দিষ্ট করিয়া দিবে, সে সমস্ত ব্যবস্থা কখন নিস্বার্থ ধর্ম্ম-সঙ্গত হইতে পারে না । প্রকৃত প্রস্তাবেও আমরা এই কথার যাথার্থ উপলব্ধি করি। সংসার ক্ষেত্রে দেখা যায়, যে পুরুষ, নারীকে এতদূর অধীন করিয়াছে, যে নারীর তার সতন্ত্র স্বার্থ স্তন্ত্র জীবনের প্রয়োজন,এবং স্বতন্ত্র মুখ নাই। পুরুষের স্বার্থ, প্রয়োজন এবং সুখের সহিত তাহা একীভূত হইয়া গি| য়াছে। এক জাতির প্রভুত্বে অপর জাতির সত্ত্বা বিলুপ্ত হইয়াছে। সুতরাং | স্ত্রীজাতির স্বতন্ত্র ধর্ম্মনৈতিক অবস্থা ও জীবন কিছুই নাই। - -

যেখানে স্বাধীনতা আছে, সেখানে যথেচ্ছাচারিতার সম্ভাবনা আমরা অস্বীকার করি না। বাস্তবিক যথেচ্ছাচারী হইবার শক্তি না থাকিলে কেহ স্বাধীন হইতে পারে না। কিন্তু তা বলিয়। স্বাধীন হইলেই ৰে সর্ব্বসাধারণে যথেচ্ছাछांद्गी झल्लेद los. একথা যদি সত্য হয়, তবে অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে, যে সমগ্র পুরুষ জাতি যথেচ্ছাচারী। তাহা যদি সত্য হয়, তবে পুরুষ জাতির স্বাধীনতা অগ্রে হরণ করা আবশ্যক। কিন্তু একথার প্রস্তাব করিতে কে সাহসী হইবে ? কাহার সাধ্য পুরুষ জাতির স্বাধীনতা হরণ করে ? পুরুষের জাতিসাধারণ স্বাধীনতা পাইয়া তাহার এক সামান্য অংশ মাত্র যথেচ্ছাচারী হইয়াছে বলিয়৷ স্বাধীনতার গৌরব কিছুই বিনষ্ট হয় নাই। বরং তাহাতে প্রতীত করিয়াছে যে, অধীনতা ও যথেচ্ছাচারিতার অপেক্ষ স্বাধীনতা কত শ্রেষ্ঠ ও সুখকর । যথেচ্ছাচারিত থাকাতে, স্বাধীনতার গৌরব বরং সমধিক বৃদ্ধি হইয়াছে। ইহাতে স্বাধীনতার সুফল ও মঙ্গল যেমন দেদীপ্যমান হষ্টয়াছে, কেবল অধীনতায় তেমন ঘটিবার সম্ভাবনা ছিল না। স্ত্রীজাতির সম্বন্ধেও একথা প্রামাণ্য বলিয়া স্বীকার করিতে হইবে। স্ত্রীজাতি স্বাধীন হইলে যে তজ্জাতিসাধারণ যথেচ্ছাচারিণী হইবে । একথা আমরা স্বীকার করিতে পারি না । ] আমরা ইহার ঠিক বিপরীত পক্ষ অবলম্বন করি। কিয়দংশ পতিত হইয়াও যদি জাতি ।