পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ ১২৮২ | ভূমিকম্পের উপকারিতা। । ৩৭ অনুসন্ধান করিলে অবশ্যই প্রতীতি হইবে, যে বৃষ্টির জল দ্বারা ভূমির যেরূপ বহুল পরিমাণে ক্ষয় হয়, সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গমালা দ্বারাও তাদৃশ ক্ষতি হইতে পারে না। ফলতঃ ভূবিদ্যা-বিশারদ পণ্ডিতেরা | ভূমিক্ষয়ের যাবতীয় কারণের মধ্যে নিয়ত সাগরাভিমুখে ধাবমান বৃষ্টির জলকে সর্ব্ব প্রধান বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। বৃষ্টির জল নদী উপনদী প্রভৃতি নানাবিধ পথে সমুদ্রের অভিমুখে ধাবমান হয়, আবার স্বর্ঘ্যের উত্ত্বাপে মেঘাকারে আকাশে উত্থিত হইয়া বায়ুর প্রভাবে নানা দেশ দেশান্তরে বিকীর্ণ হইয়া বৃষ্টিরূপে পরিণত হয়। এইরূপ প্রক্রিয়া অবিশ্রান্ত চলিতেছে। সুতরাং সমুদ্রের জল সাক্ষাৎ সম্বন্ধে পৃথিবীর উপকূলবচ্ছিন্ন অংশকে ও পরম্পর সম্বন্ধে অন্যান্য যাব তীয় অংশকে নিয়তই ক্ষীণ করিতেছে। অনেকানেক বৃহৎ নদীর মুখে অর্থাৎ সাগরসঙ্গম স্থলে দ্বীপ সংঘটিত হইতে দেখা যায়। এই সকল দ্বীপ ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি পাইয়া কালে বৃহৎ দেশ ও জনপদ স্বরূপে পরিণত হইয়া থাকে। সমুদয় বঙ্গদেশ এই প্রকারেই উৎপন্ন হইয়াছে বোধ হয় । সার চালর্স লাইয়েল একবার স্পেন দেশে ভ্রমণ করিতে গিয়াছিলেন। তিনি তথায় ক্যাটালোনিয়া নামক একটা প্রদেশের অধিকাংশই বৃষ্টির জলে ধৌত হইয়া সাগরে পতিত হইতে দেখিয়াছিলেন। এক্ষণে কিঞ্চিৎ বিবেচনা করিলে অনা মহাদেশের SSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS উপকূলভাগে সমুদ্রের উপদ্রব ও দেশের অভ্যন্তর ভাগে বৃষ্টির নিয়ত উপদ্রব হেতুক পৃথিবীর এরূপ ক্ষয় হইতেছে, ষে উহার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়প্রতিরোধক শক্তির কার্য্য না থাকিলে উহাদের সংহারিক শক্তির দিন দিন বৃদ্ধি হইতে পারে, উপকুলের ক্রমিক বিধ্বংস দ্বারা সমুদ্র ক্রমে ক্রমে অগ্রসর হইতে পারে, আর সমুদ্রের প্রশ্রয় বৃদ্ধি হইলেই আবার সমুদ্রের প্রতি স্বর্ঘ্যের আকর্ষণেরও বৃদ্ধি হইয়া বৃষ্টিরও পরিমাণ বৃদ্ধি হইতে পারে ; সুতরাং উভয় শক্তিই অন্যোন্যের সাহায্যে ক্রমশঃ বৃদ্ধিশীল হইয়া কালক্রমে সমুদায় ভূভাগকে গ্রাস করিতে পারে। বিজ্ঞানবিশারুদ সার জন হর্শেল বলিয়াছিলেন, যে যদি পৃথিবী স্বষ্টির সময় যেরূপ আকারের নির্ম্মিত হইয়াছিল, কালক্রমে উহার কোন প্রকার পরিবর্ত না হইয়া উহার আকার অব্যাহতই থাকিত, তাহা হইলে এত দিনে এত সংহারিক শক্তির কার্য্য বশতঃ সমগ্র ভূভাগের চিহ্নমাত্রও বিদ্যমান । থাকিতে পারিত না । এক্ষণে বিবেচনা করিতে হইবে ষে এতাদৃশ নিয়ত কার্য্যতৎপর সংহারিক শক্তির প্রতিরোধ করিবার নিমিত্ত নষ্টোদ্ধারিকা শক্তির কতদূর আবশ্যকতা ? ফলতঃ ক্ষতির সহিত বৃদ্ধি যুগপৎ কার্য্যতৎপর। না থাকিলে পৃথিবী বিলুপ্ত হইতে অধিক বিলম্ব লাগে না। ভূমিকম্প এই অবি শ্রান্ত ক্ষয় রোগের ঔষধ স্বরূপ। ভূমিকম্প ब्रोब्बाहे সমগ্র পৃথিবী জলজনিত ক্ষয়ের