পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हेडानि অসংখ্য কার্য্যকলাপ সম্পাদক বিভাগের মধ্যে পরিগণিত। বস্তুতঃ সমাজের | ভারতবর্ষে আরীব প্রভৃতি == (; o 8 ধৃত করিয়া বিচারালয়ে আনয়ন করা এবং বিচারালয়ে যে আদেশ হয় তাহা প্রতিপালন দ্বার সমাজের শান্তি রক্ষা করা এই বিভাগের কার্য্য। এতদ্ভিন্ন সমাজের নানা প্রকার হিতকর ব্যাপারের অনু ষ্ঠানও এই বিভাগের অন্তর্গত। যথা | কৃপতি কার্য্য, শিক্ষা, বাণিজ্য, চিকিৎসা | হিতসাধনের নিমিত্ত ব্যবস্থাপক ও বিচারক বিভাগ হইতে যে সমস্ত অনুজ্ঞা প্রকাশিত হয় তাহার সম্যক্ প্রকার পরিপালনই সম্পাদক বিভাগের কর্ত্তব্য কার্য্য । . a শাসন-প্রণালীর এই প্রধান অঙ্গত্রয় | একাধারে অবস্থিতি করিতে পারে অথবা একাধিক ব্যক্তি দ্বারা ঐ সমস্ত কার্য্য প্রণালী সম্পাদিত হইতে পারে। এক অথবা বহুসংখ্যক ব্যক্তি দ্বারা সমাজের ভিন্ন ভিন্ন কার্য অনুষ্ঠিত হইতে পারে । এইজন্য শাসনপ্রণালীও নানাবিধ আকার ধারণ করিয়াছে। শাসনপ্রণালী প্রধানতঃ দ্বিবিধ যথা (১) রাজতন্ত্র—(২)সাধারণতন্ত্র। রাজার ক্ষমতার তারতম্য অনুসারে রাজতন্ত্র আবার দুইভাগে বিভক্ত হইতে পারে যথা— (ক) যে দেশে রাজা স্বেচ্ছাচারী, কোন নিয়মের বশবর্ত্তী নহেন ; যেখানে রাজার অনুজ্ঞা ব্যতীত অন্য কোন বিধি ব্যবস্থা নাই, তাহাকে যথেচ্ছাচার রাজতন্ত্র বলা যায়। যথেচ্ছাচারী রাজার উদাহরণ, মোগল ফাস্ত্রণ ১২৮২ { সম্রাটগণ। যেখানে রাজা যথেচ্ছাচরণ করিতে পারেন না, অপরাপর প্রজাগণের ন্যায় তাহাকেও কত্বগুলি নিয়মের নির্দিষ্ট বশবর্ত্তী হইম চলিতে হয় এবং প্রকৃতিবর্গের উপদেশ শ্রবণ করিতে হয়, তাহাকে নিয়মতন্ত্র রাজ্য নামে ਬੀ করা যাইতে পারে। যথা ইংলণ্ডীয় নিয়মতন্ত্র রাজ্যপ্রণালী। ব্রিটেনের অধীশ্বর বা অধীশ্বরী পালি রামেণ্ট মহাসভার বাক্যের অন্যথাচরণ করিতে পারেন না। ’ ২। সাধারণ তন্ত্রও অল্প বা বহুসংখ্যক ব্যক্তিগণের মধ্যে ক্ষমতার বিস্তার অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন আকার ধারণ করিতে পারে। পুরাবৃত্ত্বে অনেক উদাহরণ পাওয়া যায় যে কয়েক জন মাত্র ব্যক্তি সমুদায় ক্ষমতা আত্মসাৎ করিয়া প্রজা শাসন করিয়াছেন। (ক) কোন কোন দেশের উচ্চবংশসস্তুত ব্যক্তিগণের ক্ষমতাতিশষ্য নিবন্ধন তাহারাই দেশের শাসনকর্ত্ত বলিয়া পরিগণিত হইতেন। (খ) অথবা বংশ-মর্য্যাদার প্রতি আস্থা না রাখিয়া কোন কোন দেশ ঐশ্বর্য্যশালী ব্যক্তিগণ দ্বারা শাসিত হইত। প্রথম প্রকার শাসন-প্রণালীকে কুলীন-তন্ত্র এবং দ্বিতীয় প্রকারকে আঢ্যতন্ত্র বলা যাইতে পারে। কিন্তু যেখানে অল্পসংখ্যক লোকের মধ্যে ক্ষমতা নিংন্ত্রিত নাই, প্রভূত সকলেরই শাসন সম্বন্ধুে সমান অধিকার আছে তাহাকেই প্রকৃত সাধারণতন্ত্র বলা যায়। এক্ষণে কোন, প্রকার শাসনপ্রণালী সর্ব্বোৎকৃষ্ট এবং