SiSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSJTSiS ) शंख१ ०२५१ ।। প্রাপ্ত গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত সমালোচনা । ৫২৩ | যাইবার পথে পিত্তার প্রাণ বধ করিবার নিমিত্ত যাদব কয়েক জন ঘাতুককে প্রেরণ করেন। ঘাতুকের স্বকার্য সাধন করিয়া যাদবের নিকট প্রতিশ্রুত পুরস্কার লইন্তে আসিলে, যাদব তাহাদিগকে চোর বলিয়া পুলিশে অর্পণ করেন। ঘাতৃকের যাদবের এই বিশ্বাসঘাতকতায় ক্রোধান্ধ হইয়া আমূল সমস্ত বিবরণ পুলিশের নিকট প্রকাশ করিল। যাদব পিতৃহন্ত বলিয়া ধৃত হইলেন এবং বিচারপর্যন্ত হাজতে রছিলেন। অনুতাপানল তাহার হৃদয়কে দগ্ধ করিতে লাগিল-ডনকানের বধের পর ম্যাকবেথের মনের যে অবস্থ৷ ঘটয়াছিল, যাদবেরও মনের এক্ষণে | সেইরূপ অবস্থা ঘটিল। যন্ত্রণা অসহ্য হওয়ায় যাদব কণ্ঠে ছুরিকা প্রদান পূর্ব্বক সেই কারাগুহেই সংসারলীলা সম্বরণ করিলেন। 'এই সংক্ষিপ্ত উপাখ্যানটাই এই দুঃখাস্ত নাটক খানির মূল স্বত্র । এই নাটক খানিতে কয়েকটা চরিত্র অতি সুন্দরব্রুপে চিত্রিত করা হইয়াছে। যাদব উদ্ধত-স্বভাব বটেন,কিন্তু নীচমনী নহেন। দুর্দ্দমণীয় বিষয় বাসনায় ও জঘন্য সংসর্গ দোষেই তাহার তাদৃশ দুর্ম্মতি ঘটিয়াছিল। খ্রিতুবুধের পূর্ব্বে ও পরে তাহার মনেব আস্থা পর্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে ম্পট প্রতীতি হয় যে তিনি স্বভাবতঃ নৃশংস ছিলেন না। দুষ্ট স্বরস্বতী কমপ্লের + পরামর্শের অনুর্ব্বনেই তাহার সর্বনাশ ঘটিল। বিমলায় হিন্দুরমণীর অপূর্ব্ব ছবি | প্রদত্ত হইয়াছে—পত্তিপ্রাণ সাধুশীলা পত্নীর একটী মুনীর মূর্ত্তি প্রদর্শিত হইয়াছে। যাদবের স্ত্রী সুলোচনায় একটী সরল কোমল হৃদয়া হিন্দুবালার প্রতিকৃতি প্রদত্ত হইয়াছে। দেবেন্দ্রে বন্ধুর উপমান স্থল মেণ্টরের প্রতিবিম্ব প্রতিফলিত হইয়াছে। গ্রন্থকার যে মানব হৃদয়ের গৃঢ়তম প্রদেশে | বিচরণ-সমর্থ তাহা তাহার এই ক্ষুদ্র গ্রন্থ খানি দ্বারাষ্ট প্রতিপাদিত হইতেছে। পরিবার-বিশেষের গ্লানি যদি এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য না হয় তাহ হইলে এই ক্ষুদ্র নাটক খানিকে বাঙ্গালা ভাষার এক থানি বিশুদ্ধ কাব্য বলিয়া স্বীকার করিতে হইবে। দম্পতী-মিলন—অর্থাৎ যুবরাজের সহিত ভারতেশ্বরীর সাক্ষাৎকার। কলিকাতা বডন যন্ত্রে শ্রীদুৰ্গাচরণ বন্দো পাধ্যায় কর্তৃক প্রকাশিত। মূল্য y• আন মাত্র। এথানি যুবরাজসাহিত্যের । অন্যতম। . যুবরাজসাহিত্যের সমালোচতুর সময় আমরা এ বই খানি খুজিয়া পাই নাই। এজন্য তৎকালে ইহার কোন উল্লেখ করিতে পারা যায় নাই । দুর্গাচরণ বাবুর কবিত্ব শক্তির আমরা পূর্ব্বে অনেক পরিচয় পাষ্টয়াছি। কিন্তু এথানিতে তাহার স্বাভাবিকী কবিত্বশক্তির । কোনও পরিচয় পাওয়া গেল না। বোধ হইল যেন তিনিও চজুগে পড়িয়া এথানি লিখিয়াছেন। আমরা দেখিয়া দুঃখিত হইলাম যে বৃদ্ধ জননী ভারতভূমিকে যুবতীর সাজ সাজাইয়া যুবরাজ আলব্যাটের হস্তে সমর্পণ করিতে এবং যুবরাজকে পিতা বলিয়া সম্বোধন কবিতে
