পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১৩২০ । কবি বিহারীলাল চক্রবর্তী। ' করিতেন। সাধারণতঃ শয়নাবস্থাতেই লিখিতেন। তিনি লিখিবার সময় গোকগুলি মৃদুস্বরে গান করিতেন এবং সে সময়ে, এত তন্ময় হইতেন যে, সন্ধ্যায় সজ্জিত তাম্রকূট তোরুরাত্রে সবে মাত্র সাজিয়াছেন ভাবিয়া সেবন করিতে | যাইতেন। তিনি যখন লিখিতেন, তখন তাহার বিরাম থাকিত না, কিন্তু মনের সে ভাব চলিয়া যাইলে তিনি আবার বহুদিন ধ্যানভগ্নই প্লাকিতেন, লেখনী স্পর্শ করিতেন না। লেখনী হন্তে বৃথা বসিয়া মন্তক কণ্ডয়ন করা তাহার অভ্যাস ছিল না। তিনি রচনা বহুবার সংশোধন করিজেন, যতক্ষণ না। তাহার মনঃপূত হয়, ততক্ষণ র্তাহার কবিতা সংশোধনের বা পরিবর্তনের বিরাম থাকিত না। নিজের মনঃপূত না হইলে তিনি কখনও কবিতা । প্রকাশ করিবার সম্মতি দিতেন না। মুদ্রাঙ্কণে খ্রীষ্মপ্রমাদের উপর তাহার দারুণ বিতৃষ্ণা ছিল। তিনি সে কালের পদ্ধতি অনুযায়ী একটি দপ্তর বাধিয়া তাহার মধ্যে র্তাহার রচনা রক্ষা করিতেন। টেবল দেরাজ বাক্সের তাঁহার প্রয়োজন হইত না । অনুমান ৪৫ বর্ধ বয়স পর্যন্ত বিহারীলাল নিরাময় স্বাস্থ্য ভোগও করিয়াছিলেন। তৎপূর্ব্বে কয়েকবার মাত্র ভঁাহার পাদমূলে বিস্ফোটক হইয়া তিনি কষ্ট পাইয়াছিলেন, কিন্তু এই সময়ে তিনি কঠিন বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত । হয়েন। তঁহার শেষ রচনাগুলি এই অসুস্থতার সময়েই রচিত হয়। মৃত্যুর । ২৩ বর্ষ পুর্ব্ব হইতে পীড়া প্রবল আকার ধারণ করে। তখনও কিন্তু তিনি শয়ন কক্ষের নিভৃতে বসিয়া দুৰ্বল হন্তে লেখনী ধারণ, করিতেন ও নিজের । রচনাগুলি গুণ গুণ স্বরে গান করিতেন। কখনও দেহ ও মনের শ্রাস্তি বশতঃ রচনা কার্য্যে বিফলমনোরথ হইয়া তিনি সাশ্লািনয়নে গাহিতেন- । “ফুল ফোটে না। আর সাধের বাগানে মুকুলে মরিয়া যায় ব্যথা দিয়ে প্রাণে।” । এই সময়ে তিনি বাহির হইতে পারিতেন না। কিন্তু শেষ দশায় তিনি। বাটীতে থাকিলে পিঞ্জরাবদ্ধ বিহঙ্গমের । মত অস্থির হইয়া खेछैठम ७ কাহাকেও কিছু না বলিয়া বাটীর বাহিরে যান্ধীয়া, পল্লীর মধ্যে যেমানে হয় এক জায়গায় বসিয়া থাকিতেন। এই অবস্থায় বিহারীলাল একদিন রাজপথে বাহির হইতেই দেখিলেন, যেন তাহার সন্মুখস্থ সৌধমালা ও জ্বস্রোত সমস্তই বিলীন হইয়া এক তীব্র জ্যোতিতে র্তাহার নয়ন ঝলসিয়া यारेण अवर সেই দীপ্ত আলোকের মধ্যস্থলে তাহার আজীবনের আরাধ্যা কবিকল্পনার