পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১৩২০ ৷৷ नशigव्Tibआ । 38 পুস্তকেই পাণ্ডিত্যের পরিচয় প্রকাশিত হয়-সাহিত্যের সম্পদ সম্বৰ্দ্ধিত হয়-লেখকের যশ স্থায়ী হয় ! তাই এই পুস্তক-প্রকাশে আমরা পরম পুলকিত হইয়াছি। প্রত্নতত্ত্বানুরাগী বাঙ্গালী পাঠকগণ যে এই গ্রন্থ সাগ্রহে পাঠ করিবেন, তাহাতে সন্দেহ নাই। যুরোপে ম্যাক্সমুলারাদি বহু কোবিদ ও ভারতে বালগঙ্গাধর তিলক প্রমুখ বহু সুধী ইতঃপূর্বে এই বিষয়ের আলোচনা করিয়াছেন । বিদ্যারত্ন মহাশয়ের গ্রন্থে তাহদের মত খণ্ডনের চেষ্টা আছে। আমরা পাঠকদিগকে এই পুস্তকের পরিচয় দিয়াই ক্ষান্ত হইব। পুস্তকখানিতে প্রথমে পূর্ব্বপ্রচারিত মত খণ্ডিত হইয়াছে। বিদ্যারত্ন মহাশয় ‘নেতি” “নেতি” করিয়া সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন। তিনি প্রথমে বলিয়াছেন,-“যদি জগতের আমূল মানবজাতি, ভিন্ন ভিন্ন নিদানপ্রভাব হইতেন, তাহা হইলে আমরা জগতের নানাদিকে নিশ্চিতই স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র প্রাচীনতম পিতৃভূমি দেখিতে পাইতাম, জগতের ভিন্ন ভিন্ন স্থানের প্রাচীনতম গ্রন্থসমূহেও উহাদের কোন না কোনও প্রকারে সমুল্লেখও থাকিত, কিন্তু কুত্রাপি সেরূপ বিবৃতি দেখিতে পাওয়া যায় না, জনশ্রুতিও উহার কোনরূপ সমর্থন করে না। কি ভারতবর্ষ বা আরব, পারস্য, তুরুস্ক, কি ইউরোপ কিংবা আফ্রিকা অথবা আমেরিকা ইহার প্রত্যেক স্থানের অধিবাসিগণই আপনাদিগকে এই সকল দেশের ঔপনিবেশিক বা আগন্তুক বলিয়াই অবগত, পরন্তু আদিম অধিবাসী বলিয়া নহে । পৃথিবীর সভ্যজাতির কোনও প্রাচীনতম বা আধুনিক গ্রন্থেও এই সকল স্থানের মধ্যে কোনও একটি স্থান সমগ্র মানব জাতির বা কতিপয় মানব সম্প্রদায়ের আদি পিতৃভূমি বলিয়া প্রখ্যাপিত বা প্রখ্যাত নহে। “পিতা’, ‘পিতৃভূমি” বা ‘পিতৃলোক’ প্রভৃতি শব্দও জগতের অন্য কোনও জাতির গ্রস্থে দেখিতে পাওয়া যায় না । কিন্তু জগতের সমগ্র মানবজাতির আদি সাধারণ পৈত্রিকগ্রন্থ বেদসমূহে যেমন ইহা রহিয়াছে যে, “স্বৰ্গ ও ভারতবৰ্ষই জগতের মধ্যে প্রাচীনতম জনপদ।” তদ্রুপ সমগ্র বৈদিকগ্রন্থে “পিতৃলোক’ বা ‘পিতৃভূমি” বলিয়াও একটি পবিত্র প্রত্নৌকঃ বা পুরাতন স্থানের নাম বিবৃত দেখিতে পাওয়া যায়।” “জগন্বরেণ্য সেই পবিত্র ‘পিতৃভূমি” বা “আদি প্রত্নৌকঃ’ কোন দেশ ?” “পাশ্চাত্য কোবিদ্যবৃন্দ জগতের সমগ্র আর্য্যজাতিকে ‘ককেশীয়ান রেশ’ বলিয়া অভিহিত করিয়া থাকেন। তঁহাদিগের মধ্যে অনেকে, বিশেষতঃ পরপ্রত্যয়নেয়াবুদ্ধি বহুসংখ্যক ভারতসন্তানও ককেশশ পর্ব্বতের পাদদেশকে সেই আদি প্রত্নৌকঃ