পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ : vrtátoré | 8ťové - Vo vrett কৃপণ । () ) ঘরে বাহিরে সর্বত্রই ‘পাহাড়ে কৃপণ’ বলিয়া নরেশচন্দ্রের বিলক্ষণ দুর্ণাম ছিল। কোন গভর্ণমেণ্ট আফিসে পনের টাকা বেতনে বহাল হইয়া অধ্যবসায়ের গুণে এখন তিনি একশত টাকা মাহিনী পাইতেছিলেন সত্য ; কিন্তু তথাপি নরেশচন্দ্র পূর্বের চালচলনের এতটুকু পরিবর্তন করেন নাই। বেশ, ভূষা, আহার-সকল বিষয়েই তিনি প্রাচীন অভ্যাস অনুসারে চলিতেন। এ বিষয়ে কেহ তঁহাকে বিদ্রপ করিলে তিনি অমানবদনে বলিতেন, “গরীব মানুষ, কোনরকমে দিন গুজরাণ করি ; পাব কোথায় মশায় ?” কিন্তু শুনা যায়, প্রতিমাসেই নাকি তাহার ব্যাঙ্কের খাতায়, জমার অংশে টাকার পরিমাণ বাড়িতেছিল। অর্থব্যয়সম্বন্ধে যেমন তিনি বিশেষ সতর্ক, সময়ের ব্যবহার সম্বন্ধেও ততোহধিক। কেহ একমুহূর্ত্তও নরেশচন্দ্রকে বাজে গল্প করিতে দেখে নাই। কোনও দিন তিনি শুইয়া বসিয়া বৃথা সময়ক্ষেপ করিতেছেন এ দৃশ্য SBDDD DBBBDB uB BDB DBDBD SS DBDBD DDB BB BDBDuBuBD DDD কর্ম্ম নিয়মিতভাবে করিতেন, এক মুহূর্ত্তও এ দিক ও দিক হইবার যে ছিল না। যতক্ষণ তিনি আফিসে থাকিতেন সর্ব্বদাই কাযে ব্যস্ত; ছুটীর সময় বাড়ী বসিয়া অন্য কার্য্যের সঙ্গে সঙ্গে কাগজ লইয়া ঠোঙ্গা তৈয়ার করিতেন। সে ছেলে-খেলার ঠোঙ্গা নহে। তাহাতে নরেশচন্দ্রের বেশ দু’পয়সা উপাৰ্জন হইত। লোক বলিত ঠোঙ্গা বিক্রয় করিয়া যে আয় হয়, তাহাতে নরেশচন্দ্রের সংসার খরচ প্রায় নির্বাহ হইত। সঞ্চায়ের জন্য নরেশচন্দ্র বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন । র্তাহার বাল্যজীবনের সহিত র্যাহাদের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল, তঁহাদের মধ্যে অনেকেই হলপ করিয়া নরেশচন্দ্রের সঞ্চয়-বুদ্ধির অনুকূলে সাক্ষ্য দিয়া থাকেন। কেহ কেহ এমনও বলিয়া থাকেন, দৈবাৎ কোন অতিথি অভ্যাগত অথবা আত্মীয় গৃহে উপস্থিত হইলে প্রতিদিনের নিয়মিত তণ্ডুলের একমুষ্টিও অধিক অন্ন প্রস্তুত হইত না । হুইবার উপায় নাকি ছিল না । নরেশচন্দ্র প্রতিদিন স্বহস্তে চাউল মাপিয়া দিতেন, ভাণ্ডারের চাবি তিনি অন্য কাহারও হাতে দিতেন না। সুতরাং অতিথিসৎকারের পর অনেক সময় বাড়ীর