পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ়, ১৩২০ ৷৷ क्रू** । . , R): আকাশ ধরিবার কোনও সম্ভাবনা নাই। রবিবারের অবকাশ, নরেশচন্দ্র শয়নকক্ষে বসিয়া দ্রুতহস্তে কাগজ ভাঁজ করিতেছিলেন। পত্নীও গৃহকর্ম্ম সারিয়া পতির পুণ্যের সহায় হইয়াছিলেন। বাসা বাড়ী, দুইটি মাত্র ঘর। ছোট ঘরটিতে অনিলচন্দ্র থাকে। অপেক্ষাকৃত বড় ঘরটি নরেশচন্দ্রের অধিকারে। কক্ষতল হইতে ছাদের কড়ি পর্য্যন্ত স্তরে স্তরে নানাপ্রকার পরিত্যক্ত কাগজ সাজান রহিয়াছে। লৌহজালমণ্ডিত বাতায়নপার্থে বসিয়া নরেশচন্দ্র ঠোঙ্গা তৈয়ার করিয়া চলিয়াছেন-ক্লান্তি নাই, বিরাম নাই ! @शन नश (क दांशिtद्ध एलकिढ, 'ग:तुर्श्व, दाऊंौ अछ ?” সে স্বর চির-পরিচিত। নরেশচন্দ্র বাহিরে গেলেন। দেখিলেন, তঁহার DLLKBK DLK DD ELBDS “তুমি কোথা থেকে, মেজদা ?” ভূপেশচন্দ্র সংক্ষেপে তাহার দুৰ্দশার কথা বলিলেন ; তিন শত টাকা র্তাহার এখনই প্রয়োজন। ঘৌড়দৌড় খেলিয়া তিনি তিন শত টাকা হারিয়াছেন। আজই তাহাকে এই টাকা শোধ দিতে হইবে, নাহিলে মান ইজ্জৎ কিছুই থাকিবে না ; দারুণ অপমানিত এবং লাঞ্ছিত হইতে হইবে। হাতে একটি পয়সা নাই। এখন নরেশচন্দ্র রক্ষা না করিলে এই বিদেশে তাহার উপায় নাই। বরং তিনি কিছু সুদ দিতে প্রস্তুত আছেন! নরেশচন্দ্র গম্ভীরভাবে বলিলেন, “তুমি ত জান মেজদা, টাকা ধার দেওয়া আমার ব্যবসা নয়। তা’ছাড়া এত টাকা পাব কোথায় ? আর টাকা থাকিলেও, জুয়া খেলিয়া যাহারা টাকা হারে, তাদের দেওয়াও উচিত নয়।” ভূপেশচন্দ্র কাতরভাবে বলিলেন, “ভাই, এ যাত্রা আমায় রক্ষা কর। বড়ই বিপদে পড়িয়াছি ? নরেশচন্দ্র মাথা নাড়িয়া বলিলেন, “সে হইবে না। কি করিব বল, আমি অপারগ ।।’’ ভূপেশ বলিলেন, “খালিহাতে আমি তোমাকে টাকা ধার দিতে বলিতেছি না। তোমার মেজবৌদি'র খানকয়েক গহনা আমার কাছে আছে। সে গহনা আর পরিবে কে বল ? তিনি তা এ জগতে নাই। সেই গহনাগুলি রাখিয়া তিনশ’ টাকা আমায় দাও । অন্যত্র সুন্দ লাগিবে ; এবং এখনই বা পাই কোথায় ? তোমার কাছে থাকিলে পরে ফিরিয়া পাইতে পারি।”