পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ry§e আর্য্যাবর্ত । 8qt il-ver: TRN “গহনা বন্ধক রাখিয়া টাকা ধার দেওয়ার ব্যবসা আমি করি না। ও সব আমি পারিব না।” দুই হন্তে কনিষ্ঠের করযুগল গ্রহণ করিয়া জ্যেষ্ঠ অনুনয়পূর্ণকণ্ঠে বলিলেন, “নৱেশ, আমার মান ইজৎ এ যাত্রা রক্ষা কর ভাই ।” কিছুক্ষণ নীরবে চিন্তা করিয়া নরেশচন্দ্র বলিলেন, “বন্ধক আমি রাখিতে পারিব না। তবে যদি তুমি গহনাগুলি একেবারে বিক্রয় করা, তাহা হইলে বরং চেষ্টা করিয়া দেখিতে পারি। ছোটবৌ’র কিছু টাকা আছে ; গহনাগুলি তাহাকে দিলেই হইতে পারে।” ভূপেশচন্দ্রের অলঙ্কারগুলি একেবারে বিক্রয় করিবার ইচ্ছা ছিল না। প্রায় হাজার টাকা দাম । কিন্তু এখন তিনি টাকাই বা পায়েন কোথায় ? বিশেষতঃ অন্যত্র রাখিলে যদি পরিণামে উদ্ধারনা করিতে পারেন। অল্প টাকায় সবই চলিয়া যাইবে । তাহার চেয়ে যদি ভাই সে গহনাগুলি লয়, বংশেই থাকিবে । সেটা মন্দের ভাল নহে কি ? তিনি তাহাতেই সন্মত হইলেন। ( o ) খুল্লতাতের ঠোঙ্গাতৈয়ার কার্য্যে সহায়তা করা সত্ত্বেও অনিলচন্দ্র যথাসময়ে এফ, এ পাশ করিয়া প্রেসিডেন্সী কলেজে বি, এ পড়িতেছিল। নরেশচন্দ্র ভ্রাতুষ্পত্রের শিক্ষার জন্য প্রেসিডেন্সী কলেজের ব্যয়ভার বহন করিতেছেন ; দেশের লোক ইহাতে প্রথমে কিছু বিস্মিতই হইয়াছিল বটে, কিন্তু তাহার পর তাহারা ইহার মূল কারণ খুজিয়া বাহির করিয়াছিল। ছেলের দর বাড়াইতে গেলে বাহিরের চাকচিক্যও থাকা চাহি ! দরও দিন দিন বাড়িতেছিল। বহু কন্যাদায়গ্রস্ত ব্যক্তির ঘ্যানঘ্যানানীতে নরেশচন্দ্রের ধৈর্য্যচ্যুতির উপক্রম হইল। বি, এ, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া অর্থেপাৰ্জনক্ষম না হইলে তিনি ভ্রাতুষ্পত্রের বিবাহ দিবেন না। এইরূপ সংকল্প করিয়াছিলেন। কিন্তু যাহার কন্যাদায়গ্রস্ত তাহারা ত মানুষের সঙ্কল্প বুবিয়া কায করিতে চাহে না। “গরজী কী নহি লাজ !” দর ক্রমশঃ চড়িয়া চলিল। নগদ মূল্য হাজার হইতে ক্রমশঃ আড়াই হাজারে উঠিল। নরেশের জ্যেষ্ঠ শচীশচন্দ্র দিন দিন পুত্রের দরবৃদ্ধির সংবাদে আনন্দে উৎফুল্প হইয়া উঠতেছিলেন। কনিষ্ঠের কল্যাণে পুত্রটি লেখাপড়া শিখিয়া মানুষ হইতেছে, এজন্য তিনি ভ্রাতার নিকট ঋণী। তাহার ইচ্ছা ছিল, অবিলম্বে