পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSØ& আর্য্যাবর্ত্ত । , 8ણ સર્વ-૭ણ ગશfi | করা পর্য্যন্ত আবশ্যক বোধ করিলেন না। চণ্ডালাবালক র্তাহার গৃহে পালিত হইতে লাগিল । এই ঘটনা লইয়া রামতারণ পণ্ডিতমহাশয়ের দল ভঁাহার। ভ্রষ্টাচারিত্ব উচ্চকণ্ঠে প্রচার করিবার সুযোগ পাইল । গ্রামে আর এক দল লোক ছিল । তাহার কঠোর পরিশ্রমে জীবিকা উপার্জন করিত, দলাদলি, কুচক্র, মামলা ফন্দীর মধ্যে যাইবার তাহদের অবসর ছিল না । তাহারা উপবাস করিলেও অপরের দ্বারস্থ হইত না ; প্রপীড়িত হইলেও মিথ্য সাক্ষ্য দিতে আদালতে যাইত না। সহজ কথায় তাহারা “বোকা’ বলিয়া উপেক্ষিত হইত। ইহাদের নীরব ভক্তি ও অকপট সন্মান, নির্ম্মল শ্রীতি সোমনাথের প্রাপ্য ছিল । যাহারা অপরের এক হাত পরিমিত জমী অন্যায় করিয়া লইবার জন্য গিরি পরিমিত দলিলসৃষ্টি করিতে পশ্চাৎপদ হইত না, যাহারা উকীল মোক্তারকে নানারূপ মোকৰ্দমা সৃষ্টি করিয়া দিবার জন্য বদ্ধপরিকর। ; যাহারা সরকারী কর্ম্মচারীকে অন্যায়ারূপে বাধ্য করিবার জন্য কোন প্রকার কাষ করিতে পরাত্মখ নহে রামতারণ পণ্ডিতমহাশয় তাহাদের অগ্রণী ও রতিকান্ত সরকার তাহার দক্ষিণ হস্তস্বরূপ । রতিকান্ত স্থানীয় জৰ্মীদারের গোমস্তা, বালিকা বিদ্যালয়ের পণ্ডিত, ষ্ট্যাম্প-ভেণ্ডার, দলিল-লেখক, মহাজনেরর দালাল, হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার, স্থানীয় যাত্রাদলের অধিকারী ; এক কথায় সকল বিষয়েই না শিখিয়া VSVS I ( R ) রতিকান্ত রহিম সেখাকে সঙ্গে লইয়া আসিল । রহিম তাহার ত্রিশ বিঘা জমী বন্ধক রাখিয়া রামতারণের নিকট টাকা ধার করিতে আসিয়াছে। সেই ত্রিশ বিঘাই রহিমের সর্বস্ব। এই জমীর কিয়দংশ দখল করিবার জন্য রামতারণ পূর্বে কত বুদ্ধিই আঁটিয়াছিল, কতঃ মোকৰ্দমাইঃ করিয়াছিল ; কিন্তু কিছুতেই কিছু করিতে পারে নাই। আজ মোকৰ্দমায় সর্ব্বস্বাত্ত রহিম রতিকান্তের প্ররোচনায় মুগ্ধ হইয়া সমুদায় জমী বন্ধক রাখিয়া টাকা ধার করিতে আসিয়াছে। রামতারণের মিষ্ট কথার "আজ ফোয়ার ছুটিয়াছে ; রহিমের সঙ্গে মোকদিমা করিয়াছে বলিয়া তাহার বাপ যে রামতারণকে “খুড়েঠাকুর” বলিয়া ডাকিত সে কথা কি রামতারণ ভুলিতে পারেন ? রহিম যে তঁহার নিজের