পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ়, ১৩২০ ৷৷ ଅtଷ୍fr୨୯୫ । R8) সময়ে তাহদের সমগ্র অভিমান চুর্ণ হইয়া তাহারা নিজেকে নিজের মধ্যে ফিরিয়া পাইবার অবসর পায়। রামতারণের কর্ম্মফল পরিপাক হইয়াছে, অচিরে তঁহার অভিমান-বুদ্ধি বিধ্বস্ত হইবে। তিনি স্মৃতি শাস্ত্রের পণ্ডিত ! তখনই র্তাহার স্মৃতি ফিরিয়া আসিবে। আপনার আশীৰ্বাদ করুন, যাহাতে অচিরে রামতারণ ব্রহ্মণ্যদেবের সত্তা হৃদয়মধ্যে অনুভব করিবার অধিকারী হয়েনি।” মহামহোপাধ্যায় রামতারণও আজ সোমনাথের নিকট ক্ষমা চাহিলেন । এই প্রথম রামতারণের অভিভব। তবে কি পরিবর্তন আরব্ধ হইয়াছে ? অনাদি দেব কি তাহার সত্তা বুঝাইবার জন্য কর্ম্মচক্র চালিত করিতেছেন ? অগাধবোধ সোমনাথের বাক্যাবলি সকলের হৃদয় স্পৰ্শ করিল ; ( o ) রামতারণ কঠোর হইলেও তঁহার হৃদয়ের একাংশ কোমল ছিল। তাহা র্তাহার অন্তঃপুরে প্রকাশ। তঁহার ভগিনী কুমুদিনী বালবিধবা। ভ্রাতা তাহাকে গৃহকর্ত্তী করিয়া রাখিয়াছেন। রামতারণ বেশী বয়সে বিবাহ করিয়াছেন। পত্নী মোহিনী পরম সুন্দরী। কুমুদিনীর যত্নে মােহিনীকে সংসারের কোন কার্য্য করিতে হইত না । মোহিনী নিজের বিলাস ও প্রসাধনাদি লইয়া ব্যস্ত থাকিত । কুমারীকালে বিধবা মাতা ব্যতীত পিত্রালয়ে মোহিনীর আর কেহই ছিল না। মাতার অযথা আদর হইতে সে স্বামীর সংসারে অযথা আদরে পশিয়াছিল। সে কখনও প্রবৃত্তি দমন করিতে শিখে নাই । রামতারণকে সে ভালবাসিতে পারিল না। জেলখানায় যখন মেঝের উপর মুখ রগড়াইতে রাগড়াইতে রহিম কঁাদিত ও “খোদা নাই” বলিত, সেই সময়েই কালের কঠোর বিধানে রামতারণকে কাঁটাগুকীিট অপেক্ষা হীন করিবার ব্যবস্থা হইতেছিল। যুবক জগন্নাথ মোদকের নিকট মোহিনী আত্মবিক্রয় করিয়াছিল। জাত্যভিমানী কুক্রিয়ারত ব্রাহ্মণাধমের কুলস্ত্রী পাংগুলা হইল। যখন রামতারণ সোমনাথকে ভ্রষ্টাচার বলিয়া দেশে দেশে প্রচার করিত, তখন তঁহার ধর্ম্মপত্নী ধর্ম্ম বিস্মৃত হইতেছিল। এমনই করিয়া বিধিলিপি অগ্নির অক্ষরে লিখিত হয় । ( S) ) রহিম শেখ স্থির করিয়াছে, সে আর খোদা মানিবে না। রামতারণকে সুপ্তাবস্থায় তাহার আদরের পত্নী ও সন্তানের সহিত পোড়াইয়া মারিাৰে । তবেই তাহার উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হইবে। А о