পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s89 আর্য্যাবর্ত্ত । ৪র্থ বর্ষ -৩য় সংখ্যা । করেন না ; কিন্তু হই অতি পুষ্টিকর খাদ্য। আমরা অনেক যুরোপীয়কে বাগান হইতে কচি ঢ্যাড়শ তুলিয়া খাইতে দেখিয়াছি। আমাদের দেশী নামটি কর্কশ শুনায়-য়ুরোপীগণ শুদ্র নাতিদীর্ঘ ফলগুলির সহিত রমণীর চম্পকাঙ্গলির সাদৃশ্য দেখিয়া ইহার নামকরণ করিয়াছেন-Lady's Finger)। খাদ্যের হিসাব ছাড়িয়া দিলেও ঔষধ হিসাবে ঢাড়শের মূল্য আছে । ইহার ফল ও বীজ হইতে যে পাতলা আটাবৎ বস্তুর (mucillage) নিঃসরণ হয় তাহা ঔষধে dcmulcent স্বরূপ ব্যবহৃত হইয়া থাকে। ইহার গাছের ত্বকৃ (bast) হইতে এক প্রকার চিকন শক্তি, সাদা সুন্ম সুতা (fibre) বাহির হয়-ইহা হইতে ব্যবসা-হিসাবে বহুবিধ দ্রব্য প্রস্তুত হইবার সস্তাবনা আছে। এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান চলিতেছে { অনেক প্রকারের ট্যাড়শ আছে, কিন্তু শুয়াবিহীন ঢাড়শই ভাল এবং ইহার চাষই করা উচিত । মুক্তিক প্ল- যদিও বিনাশ্রমে, যে কোন প্রকার মাটীতে ঢTাড়শ উৎপন্ন হইয়া থাকে, তথাপি উত্তমরূপ ফসল পাইতে হইলে প্রস্তরময় ও উদ্ভিজ্জ পদার্থঘটিত মৃত্তিকাই এই সবজীর উপযোগীে । জন্মনী প্রস্তত-বোৱাপান-প্রণালী ইত্যাদি প্ল-জমীতে ২৩ বার চাষ দিয়া ফাস্তুন বা চৈত্র মাসে তাহার উপর বিদা চালাইয়া ৩ ফিটু অন্তর সারিতে ২ ফিটু অন্তর বীজ রোপণ করিতে হয় ; ইহার পরে জলসেচন আবশ্যক এবং গাছ একটু বড় হইলেই জমীর ঘাস ইত্যাদি নিড়াইয়া দেওয়া উচিত। সাধারণতঃ এই সবজীর গাছ বর্ষাকালে হইয়া থাকে। কিন্তু উত্তমরূপ জলসেচন করিয়া কিছু পুর্বে বীজ রোপণ করিয়া গ্রীষ্মকালেও ঢ্যাড়শ পাওয়া যাইতে পারে। অনেকে বেগুন প্রভৃতির ন্যায় বীজ-জমীতে এই সবজীর চারাগাছ (secdling) তৈয়ার করিয়া অপর স্থানে নাড়িয়া পুতিবার কথা বলিয়া থাকেন। কিন্তু দেখা গিয়াছে যে, এইরূপ করিলে অধিক খরচ পড়ে এবং গাছগুলি অনায়াসে বীজ জামী হইতে নাড়িয়া পোতা যায় না । সুতরাং ইহার জন্য বীজ-জামী করিবার কোনও প্রয়োজন দেখা যায় না। অধিক গরমের সময় ৫৬ দিন অন্তর জমীতে জলসেচন করিতে হয় ; জমীতে অধিক ঘাস বা কোন আগাছা জন্মাইতে দেওয়া কোনমতে উচিত নহে। চ্যাড়শ যখন পুষ্টিকর খাদ্য তখন যাহাতে অধিক দিন ইহার ফসল পড়িয়া যায়, তাহার চেষ্টা করাই বিশেষ আবশ্যক। কেবল বর্ষাকালে