পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০২ - * - আর্য্যাবর্তী। ২, ৪র্থ বর্ষ-৪র্থ সংখ্যা। uhun अयुििठ করিয়াও চিত্তের এই অনুচিত চঞ্চলত উপস্থিত হইয়াছে ! চঞ্চলত হেয় বৈ কি! অভাবজন্য না হউক, মানুষের স্বভাবজন্য চিত্তের এইরূপ চঞ্চলত হইয়া থাকে। আরও কথা, বিশ্ব ব্যাপিয়া বিশ্বেশ্বরের বিভূতি বিস্তীর্ণ যথায় তথায় সেই শুদ্ধ বুদ্ধ-নিত্য অনন্ত-সুন্দরের সৌন্দর্য্যরাশি বিকীর্ণ, বিশেষ বিশেষ স্থলে আরও আশ্চর্য্যের পর আশ্চর্য্য সমাকীর্ণ ; সুতরাং ঐ সকল স্থানে গিয়া ঐ সকল বিচিত্র সৌন্দর্য্য-বিভূতি দর্শন করিব বলিয়া অদম্য লালসা আপনিই উদ্দীপ্ত হইয়া উঠে, ইহাতে চিত্তের অপরাধ কি ? নিজ-সাধনাভূমি জন্মভূমির নিভৃত-নিকেতনে নিতান্ত নিমগ্ন একনিষ্ঠ সাধক রামপ্রসাদেরও যখন ঐ রূপ চিত্ত-চাঞ্চল্য উপস্থিত হইয়াছিল, তিনি মুক্ত কণ্ঠে ব্যক্ত করিয়াছিলেন-মন কেন ধায় গো আনন্দ-কাননে। বট মনোময়ী সান্থনা কর না। ক্যানে ? তখন অন্যে পরে কী কথা ? আমারও এই আনন্দ-কানন হইতে হিমগিরির উন্নত শৃঙ্গে, পুণ্যাকাননে, পবিত্র প্রস্রবণে, পূত-গিরিনদী-সঙ্গমে এবং ঐ ঐ স্থানে প্রতিষ্ঠিত বা নিত্যপ্রতিষ্ঠ দেবমূর্ত্তি ও দৈববিভূতি-দর্শনে :চিত্ত ধাবিত হইবে, ইহাতে আর বিচিত্রতা কি ?” এই অস্থিরতাবশতঃই গ্রন্থকার উত্তরাখণ্ড-ভ্রমণে বাহির হয়েন এবং কাশী হইতে বাতির হইয়া নৈমিষারণ্যের পথে মহাবিষুব সংক্রান্তির দিন হরিদ্বারে স্নান করিয়া উত্তরাখণ্ডের তীর্থগুলি ভ্রমণ করেন। গ্রন্থের দুই স্থান হইতে আমরা গঙ্গার বর্ণনা উদ্ধত করিলাম। —ধারাসুতে আসিয়া গ্রন্থকার বলিতেছেন,”-“হরিদ্বারের পর আর এমন অপূর্ব্ব স্থান আমার দৃষ্টিগোচর হয় নাই। দুই তটে প্রকাণ্ড পর্ব্বতের পদতলে গঙ্গা আপন খাতে সম-বিষম উপলখণ্ডে শ্বলিতগতি ও ফেনিলমূর্ত্তি হইয়া কি প্রবল কলরবেই ধাবিত হইয়াছেন!! এই প্রবল নির্ম্মল ধবলধার সত্য সত্যই ভগবান বাক্ষ্মীকির বর্ণনার অনুরূপ ‘ঝঙ্কারকারি’, ‘গিরিরাজ-গুহাবিদারি’, ‘দূরপ্রচারি’, ‘দ্বরিতাপহারি” ও “সর্ব্বশুভকারি।” তুমুল কল্লোল-কোলাহল ঝঞ্জাবাতধ্বনির ,列雷 দিবারাত্রি অবিরামে কি প্রচণ্ডভাবেই উখিত হইতেছে! তরঙ্গাবলী অক্রমে, অব্যবস্থায়, অনপেক্ষায় কি উচ্ছঙ্খল নৃত্যরঙ্গেই অবিরাম ধাবিত হইতেছে! যেন এ স্থানে শব্দান্তরের অবকাশ নাই! দৃশ্যান্তরের অবসর নাই! বিচার-বিবেচনার স্থল নাই। এখানে আসিয়া আনিমিষে শুদ্ধ দেখিতে হইবে, দেখিয়া বিস্ময়ে অভিভূত হইতে হইৰে !" অন্যত্র-“স্থানে স্থানে উভয় তীরে এত নিবিড় উন্নত সতেজ তরুশ্রেণী ও স্নিগ্ধ-হরিত গুল্মলতাগহন জন্মি