পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

也悟, ১৩২০ Tg | ö6 আসামীকে লইয়া দারোগ যুবতীর পিতার গৃহে আসিলেন। যুবতীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এই যুবকের সহিত তোমার কোন সম্বন্ধ আছে?” । যুবতী বলিল, “না।” আবার প্রশ্ন হইল, “গত কল্য সন্ধ্যার কিছু পূর্বে এই যুবক গ্রামের সীমান্থ। বৃক্ষমূলে তোমাকে ধরিয়া তোমার মুখচুম্বন করিয়াছিল ?” যুবতী উত্তর দিল, “হঁ।” দারোগ আসামীকে লইয়া চলিয়া গেলেন । যুবতী দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিল। দুই গ্রামে সশস্ত্র পুলিশ পাহারা রহিল। যুবকের বিরুদ্ধে যুবতীকে বেইজ্জত করিবার অপরাধে মোকৰ্দমা দায়ের छ्ट्रेल । ( ) ) যথাকলে মোকৰ্দমার বিচার আরব্ধ হইল। সাক্ষীর পর সাক্ষী যুবতীর পিতার বর্ণিত ঘটনার বিষয় বলিয়া গেল। প্রমাণে কোথাও ছিদ্র দেখা গেল। না। যুবকের দণ্ডভোগ অনিবার্য্য বোধ হইতে লাগিল। গারদে বসিয়া যুবক এ কয় দিন কেবল ভাবিয়াছে। ভাবিবার এমন অবসর সে আর কখনও পায় নাই। যে সমস্ত দিন-সময় সময় সমস্ত রাত্রিও ঘুরিয়া বেড়ায়, তাহার পক্ষে গারদে আবদ্ধ থাকা বিশেষ কষ্টের কারণ। সেই কষ্ট্রের মধ্যে তাহার বিশেষ কষ্টের কারণ ঘটিয়াছে। এই রমণী -এই হামিদার জন্য সে প্রাণ দিতে প্রস্তুত ছিল ! সে-ই তাহার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়াছে ! সে আত্মপক্ষ সমর্থনে কোন কথাই বলে নাই। সাক্ষা গ্রহণ শেষ করিয়া বিচারক আসামীর দিকে ফিরিলেন। সে নতনেত্রে কাঠগড়ায় দাড়াইয়া ছিল। বিচারক তাহাকে বলিলেন, “তোমার কিছু বলিবার আছে ? তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ-তুমি গাজীউদ্দীনের কন্যাকে নিভৃতে পাইয়া তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাহাকে চুম্বন করিয়াছ ?” যুবক মুখ তুলিয়া বলিল, “কে বলিয়াছে ?” “গাজীউদ্দীন ও সাক্ষীরা বলিয়াছে।’ “সে কি বলিয়াছে ?” r যুবক “সে” কথাটার উপর জোর দিয়া জিজ্ঞাসা করিল। সে বিচারকের