পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छांध, ነoq• ! ' ਲੈ | ८१ a ‘জীবন সার্থক করিবার সুযোগ পাইয়াছে ; আজি সরোজার নারীজন্ম সার্থক । হইয়াছে। তাই সঙ্গে সঙ্গে সরোজার প্রতি কর্ত্তব্যে সে আর যে কর্ত্তব্য পালন করিতে পারে নাই, বিরজা সেই কর্ত্তব্যপালন করিতে ব্যস্ত হইল। কর্ত্তব্যপালন ব্যতীত তাহার ব্যর্থ জীবনের আর কি উদ্দেশ্য থাকিতে পারে ? সে শ্বাশুড়ীকে সকল কথা লিখিয়া শেষে লিখিল—“মা, ভগবান আমার আর সব বন্ধন মুক্ত করিয়া দিয়াছেন। বাবার মৃত্যুর পর আমি আপনার আদেশ-মত সরোজাকে আগলাইয়ী ছিলাম। আপনি বলিয়াছিলেন, তাহার শুভাশুভের প্রতি দৃষ্টি রাখাই আমার কর্ত্তব্য। আমার সে কর্ত্তব্য শেষ হইয়াছে। কিন্তু মা, সেই কর্ত্তধ্যের জন্য আপনি আমাকে যে কর্ত্তব্যপালন করিতে দেন নাই, আমি এবার সেই কর্ত্তব্যপালন করিব। এখন আপনি ছাড়া আমার অন্য আশ্রয় নাই, আপনার পদসেবা ব্যতীত আমার অন্য কর্ত্তব্য নাই। আমি । আপনার কাছে যাইব । আর আমাকে বারণ করিবেন না ৷’’ যথাকালে শ্বাশুড়ীর পত্র আসিল-“মা আমার-সর্ব্বস্ব আমার, তুমি এস-আমার বেদনাবিক্ষত শোকসন্তপ্ত-তৃষ্ণাতুর হৃদয়ে এস। তোমার কষ্ট হইবে বলিয়া আমি তোমাকে সঙ্গে আসিতে বারণ করিয়াছিলাম। কিন্তু তোমাকে ছাড়িয়া আমি যে কষ্ট ভোগ করিয়াছি, মা, বিশ্বেশ্বর ব্যতীত আর কেহ তাহ জানেন। না। তুমি ব্যতীত আমার আর কে আছে, মা ? তুমি ছাড়া এ হৃদয় জুড়াই, বার যে আর কেহ নাই। তোমার কষ্ট দেখিতে পারিব না বলিয়া তোমাকে সঙ্গে আনি নাই ; ভুল করিয়াছিলাম ; কষ্ট যে, মা, মনে। কই ভুলিতে অক্ত পারি নাই--তোমার মলিন মুখ যে মন হইতে মুছিতে পারি না। বিধাতা । যে কষ্ট দেন, সে কষ্ট সহিবার শক্তিও দেন। তিনি একই বজাঘাতে আমাদের । উভয়ের বক্ষ বিদীর্ণ করিয়াছেন—সে বেদনা উভয়ে এক সঙ্গে সহিব। তবে তোমাকে দিয়া তঁহার আরও কাব্য করাইবার ছিল। তুমি বৃদ্ধ পিতার সেবাশুশ্রষা করিয়াছ-ভগিনীকে বক্ষে রাখিয়াছ । আজ তোমার সে সব কাব্য শেষ হইয়াছে। তবে, মা, আমারই বক্ষে এস।” এই পত্র পাইয়াই বিরাজ যাত্রার উদ্যোগ করিয়াছিল। কেবল শৈলজার ও সরোজার অনুরোধে সে এত দিন যাইতে পারে নাই। এবার সে যাত্রার আয়োজন করিয়া শা’নগরে আসিয়াছিল; তথা হইতে কাশী যাইবে। শৈলজাও এই পথে শ্বশুরালয়ে যাইবে স্থির ছিল ; কারণ, তাহার স্বামীর ছুটীর প্রায় অৰ্দ্ধাংশ ইচ্ছাপুরেই শেষ হইয়াছিল—এখনও তঁহার গৃহে যাওয়াই