পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র, ১৩২০ । নবীনচন্দ্রের কাব্যে কৃষ্ণচরিত্র। VOGY নবীনচন্দ্রের কাব্যে কৃষ্ণচরিত্র। ( S) সুদুর দ্বাপর যুগ হইতে আজ পর্যন্ত কৃষ্ণ ভারতের সম্প্রদায়বিশেষের নিকট ভগবানের পূর্ণাবতাররূপে আচ্চিত হইয়া আসিতেছেন। প্রাচীন বৈষ্ণব।-- গণ ভক্তির উচ্ছাসে কৃষ্ণের প্রতি ব্রজগোপীর চিত্তহরণ, বসনহরণ প্রভৃতি যে সকল কার্য্যের আরোপ করিয়াছেন, তাহাতে আমাদের দেশীয় পাশ্চাত্য শিক্ষালোকপ্রাপ্ত সমাজ কৃষ্ণকে বিশেষ শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখিতেন। বলিয়া মনে হয় না । ভক্ত লেখকগণ কৃষ্ণকে নারায়ণ মনে করিয়া কৃষ্ণের রাসলীলা, দোললীলা, বস্ত্রহরণ প্রভৃতির বর্ণনা করিয়াছেন; যিনি ভক্ত, যিনি ভাবুক তিনি বুঝিতে পারেন যে, ভক্ত-বর্ণিত সেই সকল লীলার মধ্যে ভক্ত-হৃদয়ের ভাব, ভক্তি ও আত্মবিস্মৃতির কি মহান গভীর তত্ত্ব নিহিত আছে। প্রতীচ্য শিক্ষায় শিক্ষিত সমাজের কৃষ্ণের প্রতি সেই অশ্রদ্ধা এখন আর নাই। এখন র্তাহারা কৃষ্ণকে ভগবানের পূর্ণাবতাররূপে পূজা না করিলেও—আত্মত্যাগী, পরার্থপর লোকাতীত শক্তিশালী মহাপুরুষ বলিয়া শ্রদ্ধা-পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করিয়া থাকেন। আমাদের বিশ্বাস, নবীনচন্দ্রের রৈবতক’ কাব্যই প্রথমে আমাদের দেশীয় লোকের কৃষ্ণের সম্বন্ধে ভ্রম ও অশ্রদ্ধা দূরীভূত করিয়াছে। মহাভারত ও ভাগবত লইয়া নবীনচন্দ্রের রৈবতক’, ‘কুরুক্ষেত্র’ ও ‘প্রভাস’ রচিত । নবীনচন্দ্র মহাভারত ও ভাগবত পাঠ করিয়া কৃষ্ণ-চরিত্র কিরূপ বুঝিয়াছেন এবং আমাদিগকে কিরূপ বুঝাইতে প্রয়াস পাইয়াছেন, এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধে তাহাই আলোচিত হইবে । ‘রৈবতকে' কৃষ্ণের আদ্যলীলা, কুরুক্ষেত্রে’ মধ্যলীলা এবং “প্রভাসে।” অন্তলীলা বর্ণিত হইয়াছে। অতএব ‘রৈবতক’ আমাদের প্রথম আলোচ্য। ‘রৈবতকের' সপ্তম সর্গে কৃষ্ণের বাল্য ও কৈশোর লীলা সংক্ষেপে বর্ণিত হইয়াছে। এই সৰ্গে আমরা দেখিতে পাই, কৃষ্ণ নন্দ যশোদার প্রাণাধিক প্রিয় পুত্ররূপে বৃন্দাবনের শ্যামল ক্ষেত্রে গোপবালকসহ গোচারণে রত। এক দিন দশমবর্ষীয় বালক কৃষ্ণ ভ্রাতা বলরামসহ বকুলমূলে উপবেশন করিয়া যমুনার “শান্ত নীল নীরে” স্তব্ধ মধ্যাহ্নের “কিরণ খেলা” দেখিতেছিলেন। এমন b w us

  • বঙ্গীয় সাহিত্য-পরিষৎ হইতে পদক পুরস্কার প্রাপ্ত।