পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

80 S, उार्याव6 । 8र्थ वर्ष-१श ज९था । উভয়েই একই ভাবে একই সময়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েনি। সিরাজের শোচনীয় মৃত্যুর পর নীচমন মীরণ র্তাহার একজন বন্ধুর উপর আমিন ও ঘসিটিকে নৃশংসরুপে হত্যা করিবার জন্য মুর্শিদাবাদে লইয়া যাইবার ছলে র্তাহাদিগকে একখানা নৌকায় চড়াইয়া কোন নির্জন স্থানে নৌকাখানি ডুবাইয়া দিতে আদেশ প্রেরণ করেন। আদেশ অবশ্যই প্রতিপালিত হইল। কিন্তু সেই আদেশ প্রতিপালিত হইবার পূর্বে উভয় ভগিনীই বলিয়াছিলেন,- “O God, we have done no harm to Miran, who,having brought ruin on our family, and deprived our brothers of their rights, is now about to put us to death. We pray, that he may soon be struck dead by lightning for his cruel deeds." সকল দেশের সকল ইতিহাসেই নৃশংস হত্যার বৃত্তান্ত আছে ; কিন্তু এরূপ নিঃসহায়া দুইটি স্ত্রীলোক-মীরণের ন্যায় ক্ষমতাপন্ন ব্যক্তির ক্ষতি করিবার যাহাদের কোন ক্ষমতা ছিল না, তাহদের হত্যার ন্যায় দৃষ্টান্ত জগতের কোন ইতিহাসে পাওয়া যায় না। ভারতবর্ষের ইতিহাসের পৃষ্ঠায় অনেক নূতন ধরণের ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়-ইহা তাহদেরই একটি। ব্রজেন্দ্র বাবু এই চিত্র অঙ্কনের সঙ্গে সঙ্গে আমিনার জীবনের শেষ কয়েক দিন, বিশেষতঃ শেষ কয়েক মুহূর্ত্তের যে চিত্রাঙ্কন করিয়াছেন, তাহা অতি সুন্দর হইয়াছে। উল্লিখিত তিনটি চিত্র ব্যতীত মণিবেগমের চিত্রটিও বেশ পরিস্ফুট হইয়াছে। ইতিহাসজ্ঞ ব্যক্তিগণ অবগত আছেন যে, মণিবেগম মীরজাফরের অন্যতমা সহধর্ম্মিণী ছিলেন এবং মীরজাফরের উপর তিনি যথেষ্ট আধিপত্য করিতেন। সামান্য নর্ত্তকী হইতে যিনি মুরশিদাবাদের নবাবের প্রিয়তমা বেগম হইতে পারেন, তাহার বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা না করিয়া থাকিতে পারা যায় না। সামান্য বংশে জন্মগ্রহণ করিয়া, স্বীয় স্বাধীন সুতীক্ষু বুদ্ধিবলে কেমন করিয়া একজন অবলা রমণী আপনার চতুঃপাশ্বে প্রভুত্ব বিস্তার করিতে পারেন, মীরজাফর-বনিতা মণিবেগম তাহার প্রকৃষ্ট ও জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত । মণিবেগম প্রভুত্ব ও বিপুল ধনসম্পত্তির অধিকারিণী হইয়া, দানাদি পুণ্যকার্য্যে মুক্তহন্তে অর্থব্যয় করিয়া, আত্মীয় স্বজন এবং অধীন কর্ম্মচারী ও ভৃত্যদিগের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে সতত দৃষ্টি রাখিয়া বাঙ্গলায় অক্ষয় কীর্ত্তি রাখিয়া DDDDBSS 0DDBLBDB BBDBDSDDDDBD DBDDB BBDS