পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eu, Yvoro দিল্লীর লাড있 8o ዓ ਛੁਝੋੜ লাভভ । ( . ) অধিকাংশ জিনিসেরই তিনটি শ্রেণী দেখা যায়। আমি জাতিতে ব্রাহ্মণ, কুলমর্য্যাদায় কুলীন। আমরাও তিন শ্রেণীতে বিভক্ত। যে কুলীনের ঘরে চঞ্চলা অচলা, বীণাপাণির কৃপা ও যাহার প্রতি আছে, তিনি প্রথম শ্রেণীর কুলীন। যাহার সংসারে লক্ষ্মী বা সরস্বতী একজনের পূর্ণদৃষ্টি বিদ্যমান, তিনি দ্বিতীয় শ্রেণীর কুলীন। আর সাতপুরুষ ধরিয়া যাহার ঘরে লক্ষ্মীর অধিষ্ঠান নাই, কিন্তু পাঠশালার গুরুমহাশয়ের তাড়নায় সরস্বতী একেবারে র্যাহাদিগকে ছাড়িয়া যাইতে পারেন নাই, অথচ “যাই যাই’। ডাক ধরিয়াছেন, অথবা র্যাহাদের বংশের সংস্কার “কালীর আঁচড় দিলে ধারা হয়’, র্তাহান্নাই তৃতীয় শ্রেণীর কুলীন বলিয়া গণ্য। আরও একটা শ্রেণী আছে--মধ্যম শ্রেণী। আমাদিগকে মধ্যম শ্রেণীর কুলীন ধরিতে বোধ হয় কাহারও আপত্তি इशेष्त्र न । শ্রোত্রীয় বংশীয় একজনের যেমন অবস্থা মন্দ হইলে বিবাহের জন্য তঁহাকে গালে হাত দিয়া বসিতে হয়, কুললক্ষ্মীলাভের জন্য একজন তৃতীয় শ্রেণীর কুলীনকেও ততটা ভাবনায় পড়িতে হয় না । তবে শ্রেণীভেদে দরের তারতম্য সকল বিষয়েই আছে। একজন প্রথম শ্রেণীর কুলীন বিবাহে তিন হাজার বা ততোহধিক টাকার ফর্দ দিয়া বসিবেন, কিন্তু আমার মত একজন মধ্যম শ্রেণীর কুলীনের পক্ষে বিবাহে সর্ব্বসাকল্যে পাঁচশত রাজতমুদ্রালাভই যথেষ্ট । আমার বয়স যখন বিশ বৎসর, তখনও আমি গ্রামের মধ্যইংরাজী বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি। তিন বৎসর ধরিয়া তৃতীয় শ্রেণীতে উঠিতে পারিলাম না । এ দিকে সাংসারিক অভাব অনাটন যথেষ্ট । সুতরাং বিদ্যালয়ে যাতায়াত একরূপ বন্ধ করিয়া যদু ঘোষের তাসের আডিডায় নিয়মিতরূপে হাজিরা দিতেছি, এমন সময়ে কন্যাদায়গ্রস্থ এক ব্রাহ্মণ এক দিন সকালে বাবার পা জড়াইয়া ধরিলেন। যৎসামান্য কিছু লইয়া তাহার কন্যাকে আমি বিবাহ করি। ইহাই তেঁাহার প্রার্থনা । বাবা নিতান্ত সেকালের লোক, ভাগ মন্দ বুঝেন না, মা’র মতামতের উপর নির্ভর করিলেন । মা বড়