পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8d R. আর্য্যাবত্ত । 86 वर्ष,-6श ज९शT। করেন, এবং বাহিরে মহাজনের লোক ডাকিলে কৃত্রিম সুরে উত্তর দেন, “বাড়ীতে নাই।” মধ্যে মধ্যে শুনিতে পাই, আমি নাকি অকালকুষ্মাণ্ড । মাতাঠাকুরাণী দিবারাত্রি চটিয়া থাকেন, তঁহাকে কি ভাল, কি মন্দ কোন কথাই বলিবার সাধ্য আমার ত দুরের কথা আমার বাবারও নাই। কয়েক দিন পরে পরস্পর শুনিলাম, আমার আবার একটি বিবাহ দিবার জন্য আমার পিতামাতা সচেষ্ট হইয়াছেন। সুখের বা দুঃখের বিষয় পিতামাতার বিশেষ আগ্রহসত্ত্বেও কেহই এই পাত্রকে অর্থসহ কন্যাদান করিতে চাহিল না। তাহার কারণ, আমার একবার বিবাহ হইয়াছে, - স্ত্রী বর্ত্তমান, এবং আমাদের অবস্থা শোচনীয় ! ( t ) মনের দুঃখ মনে চাপিয়া জীবনের দিনগুলি অতিবাহিত করিতে লাগিলাম। একদিন মধ্যাহ্নে আপন মনে পথের ধারে বসিয়া কত কি ভাবিতেছি, এমন সময়ে পিতাঠাকুর মহাশয় কোথা হইতে বাড়ী আসিলেন--সঙ্গে একজন লোক। কথাবার্ত্তার আভাসে বুঝিলাম, সে আদালতের একজন পদাতিক ; আমার শ্বশুর মহাশয়ের নামীয় অস্তবের পরওয়ানা জারি করিতে আসিয়াছে। পিতাঠাকুর মহাশয় ভিতরে ভিতরে পাঁচশত টাকা দাবীর এক মোকৰ্দমা করিয়া একতরফাসুত্রে ডিক্রী পাইয়াছিলেন, এ সংবাদ আমি পূর্ব্বে কিছুই জানিতাম না। আহারাদির পর আদালতের পদাতিক ও আমাদের গ্রামের ইত্যর শ্রেণীর একজন লোক সঙ্গে লইয়া, পিতাঠাকুর মহাশয় আমার শ্বশুরবাড়ীর অভিমুখে যাত্রা করিলেন । যাইবার সময়ে তিনি আমাকে এ সম্বন্ধে কোন কথা বলিলেন না । অভাব এমন জিনিস যে, তাহা সংকীর্ণতার মধ্যে থাকিয়াও মাথা তুলিবার চেষ্টা করে, কালাকাল দেখে না, এবং পাত্রাপাত্র বিবেচনা করে না । হতভাগ্য ব্রাহ্মণ ! তুমি কি দেশের মধ্যে আর পাত্র খুজিয়া १७ নাই ? বংশের গৌরব রক্ষা করিতে গিয়া তোমাকে যে কিরূপ লাঞ্ছনাভোগ করিতে হইবে, তাহা কি তুমি স্বপ্নেও কল্পনা করিতে পার নাই ? তুমি দারিদ্র্যপ্রপীড়িত, তুমি ঋণভারগ্রস্ত কিন্তু লোক ত তোমার প্রতি ফিরিয়াও চাহিবে না,-এ সংসারে সকলেই স্বার্থ লইয়া ব্যস্ত। তুমি অর্থ চাহ মানরক্ষার জন্য, অন্যের অর্থের প্রয়োজন তাহার হাজার টাকার থলিটির কিয়দংশ খালি আছে বলিয়া ! অভাব সকলেরই সমান।