পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৫৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারকেশ্বরে ফিরিবার চেষ্টা না করিয়া বুদ্ধির কায করিয়াছি। - কে জানে । রজনীতে কোথায় গিয়া পড়িতাম ! মণ্ডলের পো বিশেষ যত্নসহকারে আমাদের সেবা আরম্ভ করিল। ব্রাহ্মণ । দেখিয়া তাহার। ভক্তির মাত্রা বাড়িয়ছিল। সে পার্শ্ববর্ত্তী এক ব্রাহ্মণ গৃহস্থকে সেই রাত্রিতে ডাকিয়া আসিল। তিনি স্বয়ং আমাদের আহার্য্য পাক করিতে বসিলেন। আমাদের কোনও আপত্তি গ্রাহ হইল না। চাউল ডাউল । আমাদের সঙ্গেই ছিল। ব্রাহ্মণের বাড়ী অধিকাংশ পাঠাইয়া দিলাম। বন্যায় । মণ্ডলের বিশেষ ক্ষতি হয় নাই। তাহার কোঠাবাড়ী। কিন্তু দরিদ্র পল্লীবাসীরা । অন্নহীন হইয়াছিল। স্বেচ্ছাসেবকের দল অদ্য সকালে এ স্থানে আহার্য্য । বিতরণ করিয়া গিয়াছে। সেবা করিতে আসিয়া সেবা গ্রহণ করিতেছি ; কাযটা সঙ্গত কি না। এখন বুঝিতে পারিতেছি না। কিন্তু সারাদিনের পরিশ্রমের পর সে সেবা } লাগিতেছে বেশ । মণ্ডলের পো বাহিরের ঘরে উত্তম শয্যা রচনা করিয়া দিল। তাহার পর ব্রাহ্মণের প্রসাদ সপরিবারে সাগ্রহে ব্যবহার করিল। ( 8 . ) চারি দিন হাড়ভাঙ্গা রিলিফের কায করিবার পর ব্রজগোপালের শরীর। অসুস্থ হইয়া পড়িল। দিনের বেলা, কখনও নৌকাযোগে, কখনও কৰ্দম-” মগ্ন পথ অতিক্রম করিয়া আহার্য্য বিতরণ এবং রাত্রিতে আডিডায় আসিয়া । রোগীর শুশ্রষা, তাহার শরীরে সহিল না। তাহাকে কলিকাতায় পাঠাইব, । স্থির করিলাম ; কিন্তু সে কিছুতেই যাইবে না। তখন স্বেচ্ছাসেবকের দল .۰. পুষ্ট হইয়াছিল। লোকের অভাব ছিল না। বহুসংখ্যক ছাত্র সমবেত। . জোর করিয়া ব্রজগোপালকে কলিকাতায় পাঠাইয়া দিলাম। তখন রেলপথ । সংস্কৃত হইয়াছে, গাড়ীও চলিতেছে। সিভিলসার্জন তখন তারকেশ্বরে ছিলেন। আমাকে মেডিক্যাল কলেজের - ছাত্র জানিয়া হাসপাতালের কার্য-ভার আমার স্কন্ধেই অৰ্পিত করিয়াছিলেন। , কাব্য বাড়িয়াছিল। সন্ধ্যার পর রোগীর তত্ত্বাবধান করিতাম। বন্যার জল কমিয়া আসিয়াছে। পূর্বে দশ মাইল পর্যন্ত নৌকাযোগে । যাওয়া আসা চলিত; এখন অধিকাংশ স্থলেই পদব্রজে কাদা ভাঙ্গিয়া গ্রামে । যাইতে হয়। কোন কোন গ্রামের এমন অবস্থা যে, তথায় স্মৃত্তিকা স্পর্শ ।