পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৫৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

འགའ་ বাঙ্গলের পশ্চাতে ডাকিয়া খনির জমীসীমা পার করিয়া দিয়াছিল। নরেশ নিশ্চয়ই ডাক-গাড়ী ধরিয়া পলাইতে পারিয়াছে। সারদাচরণ কলিকাতায় ফিরিলেন। এই অপ্রকাশিত দুর্ঘটনার দারুণ আঘাতে র্তাহার বুক যেন ভাঙ্গিয়া গিয়াছিল। তঁহার একমাত্র সন্তান সুরমার অদৃষ্ট এই ছিল ? হায় হতভাগিনী ! সেই দুঃখ তাহাকে পীড়িত করিতে লাথিল। কিন্তু তাহার ততােহধিক দুঃখ এই যে, এই ঘটনায় মানুষের উপর তাহার বিশ্বাস নষ্ট হইয়া গেল। সুশিক্ষিত-সুশীল-সচ্চরিত্র ভদ্রসন্তান নরেশ এমন কাব্য কেমন করিয়া করিল ? সে যদি ক্রোধবশে মর্গ্যানকে খুন করিত, তবে তিনি তাহাকে ক্ষমা করিতে পারিতেন। কিন্তু সে সমস্ত দিন ভাবিয়া উপায় স্থির করিয়া নিশীথে নিরস্ত্র নিদ্রিত মর্গ্যানকে হত্যা করিল ? মানুষকে বিশ্বাস কি ? শিক্ষায় সংসর্গে তাহার পশুপ্রকৃতি পরিবর্তিত "दशं ना। কাযে মন লাগে না । সুতরাং মাকেলের কায লওয়া উচিত নহে মনে করিয়া সারদাচরণ ওকালতী ছাড়িয়া দিলেন। তিনি গ্রামের জমীদারী স্বত্ব SDB BBDB BBDDuDuD DY S DBBBDBD D DBBDBD DBDY বিদ্যালয়-স্থাপনের সব উদ্যাগ করিয়াছিলেন। সে সব ছাড়িয়া তিনি মানমুখী কন্যাকে লইয়া কলিকাতার জনতা ত্যাগ করিয়া কাশীতে আসিয়াছেন। , কাশীতে পিতা আর পুত্রী। পুত্রীকে লইয়া, তাহাকে নানা তীর্থ দেখাইয়া, পড়াইয়া সারদাচরণ অন্যমনস্ক রাখিতে চেষ্টা করিতেন। কিন্তু উভয়ের মধ্যে কখনও নরেশের কোন কথা হইত না। কারণ, সুরমার দৃঢ় বিশ্বাস *ছিল, নরেশ সত্য কথাই বলিয়াছে;.সে নিৰ্দোষ। আর, সে জানিত, তাহার পিতার দৃঢ় বিশ্বাস, জামাতা অতি ঘূণ্য কায করিয়াছেন। এ অবস্থায় সে পিতার সহিতও স্বামীর কথার আলোচনা করিতে চাহিত না। বাস্তবিক সে জমে ক্রমে স্বামীকে দেবতার আসন দান করিতেছিল। নরেশ যেন দূর হইয়া কেবলই তাহার নিকটে আসিতেছিল; সে যেন রহস্যময় শক্তিরূপে অহরহঃ তাহার অন্তরে বিরাঁজ করিয়া তাহার জীবন পূর্ণ করিয়া ছিল। তাই সে পিতার সঙ্গেও স্বামীর কোন কথা কহিত না। সারদাচরণের মনে সুখও ছিল না। শান্তিও ছিল না। আজ কাশীর উৎসব